সংস্কার করেন কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে না

22 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সংস্কার করেন কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের মানুষ সময় দেয় কিন্তু ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে তাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না। আপনারা তিন, ছয়, নয় মাস সময় নেবেন, নেন, কিন্তু কীভাবে কী করবেন একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করেন, যেন আমরা জানতে পারি এই সময়ে এই হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের ভালোবাসার সরকার। বিএনপির সমর্থিত সরকার। সে সমর্থন কার্যকর করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশন ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সব মামলা প্রত্যাহার ও দৈনিক দিনকালের প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার ব্যবস্থার দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছে জানিয়ে দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। ১৯৭১ সালে জাতীয় বীর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তখন বেগম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর কারাগারে ছিলেন। আর যারা স্বাধীনতার কান্ডারি দাবি করে তারা পাকিস্তানের জেলে ছিল, আর বাকিরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আরাম-আয়েশে ছিল। আর বেগম খালেদা জিয়া তার দুটি মাসুম বাচ্চা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেলে ছিলেন।

আরও পড়ুন

‘আজ পর্যন্ত তিনি শত শত মামলা মাথায় নিয়ে আছেন। কিসের জন্য? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য। এই মানুষটা তার পুরো জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের স্বাধীনতা-গণতন্ত্রে জন্য। দেশের মানুষের অধিকারের জন্য। বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের নারীদের জন্য যা করেছেন পৃথিবীর আর কোনো দেশে কেউ এরকম করেনি। তিনি কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছেন। সারের দাম কমিয়েছিলেন। তিনি দেশের জন্য যা করেছেন অন্য কোনো সরকার আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেনি।’ বলেন তিনি।

দুদু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমানকে তার পুরো তারুণ্য দেশ থেকে বাইরে গিয়ে কাটাতে হয়েছে। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয়নি। অথচ ওনাদের দুজনের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা যত হামলা মামলা-গুমের শিকার হয়েছে পৃথিবীর আর কোনো রাজনৈতিক দল এর শিকার হয়নি। তাদের একটা মামলাও প্রত্যাহার হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেমন হাজিরা দিত হতো, এখনো দিতে হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ফাঁসির আসামি হয়ে জেলে আছে। আপনি গণতন্ত্র চাইবেন আর গণতন্ত্রের সৈনিকদের জেলে রাখবেন, তাদের মাথার ওপর মামলা রাখবেন, এটা তো হয় না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন খেলা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র খেলছে। বিদেশ থেকে খেলছে। দেশের মধ্যে অনেকে খেলছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেওয়া যাবে না। তারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশের মর্যাদা, শিল্প, কৃষি সবকিছু ধ্বংস করেছে। ফ্যাসিবাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি।

শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, গঙ্গায় গেছেন ভালো করে পরিষ্কার হন। মন পরিষ্কার করেন, তারপর ভেবেচিন্তে দেখা যাবে। অনেকে বলে ৩০ বছর, ৬০ বছরের মধ্যে আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি নাজিমুদ্দিন আলম, আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, কৃষকদল নেতা এসকে সাদি, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/ইএ/এমএস

Read Entire Article