সমালোচনার মুখে সাইবার বুলিংয়ের বিধান বাদ দিলো সরকার

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

তীব্র সমালোচনার কারণে প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়ায় সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর এটি অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করতে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিবের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে অধ্যাদেশটির খসড়া করা হয়। এরপর টিআইবি, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষণের পর পুনরায় অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় এবং পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আবারও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। তবে তার আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটে মতামত নেওয়া হবে। অধ্যাদেশটির মাধ্যমে যেন মানুষ নিগ্রহের শিকার না হয় এবং নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সে চেষ্টা করা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার ফয়েজ আহমদ তাইয়্যেব বলেন, জনপরিসরে সমালোচনার কারণে সাইবার বুলিং থেকে আমরা সরে এসেছি। খসড়া নিয়ে গণমাধ্যমে যত সমালোচনা, পর্যবেক্ষণ ও মতামত এসেছে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ঠিক না থাকলে ও সভ্য সংস্কৃতি না থাকলে যেকোনো আইনেরই অপব্যবহার সম্ভব। এ আইন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সুরক্ষা দেবে, বর্তমান সরকার নিবর্তনমূলক কোনো আইন চায় না।

আইনে যা থাকছে, যা বাদ পড়ছে

> ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট প্রাপ্তির অধিকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে
> সাইবার স্পেসে ঝুঁকি মোকাবিলার উদ্যোগ স্পষ্ট করা হয়েছে
> যৌন হয়রানিকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে
> কনটেন্ট ব্লকের দিক থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কারণে ব্লক করার কারণ জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে
> তল্লাশির স্বার্থে জব্দ করা জিনিসপত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে
> জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে কিছু প্রকাশ করা যাবে না, এমন অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়েছে।

এএএইচ/বিএ

Read Entire Article