ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১২:২২, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ আপডেট: ১২:২৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
শাহ এএমএস কিবরিয়া (ফাইল ফটো)
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়ার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (২৭ জানুয়ারি)। ২০০৫ সালের এ দিনে তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন।
শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন কিবরিয়া পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া।
তিনি বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় হবিগঞ্জের সাবেক এমপি আবু জাহির, সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খান ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী মিলে আমার পিতা শাহ এএসএম কিবরিয়াকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করেছেন।”
রেজা কিবরিয়া বলেন, “বিভিন্ন কারণে আমার বাবার সাথে সালমান এফ রহমানের শত্রুতা ছিল। সে তার ব্যাংকের দুর্নীতি ও শেয়ার মার্কেটের কেলেঙ্কারির জন্য আমার বাবার উপর ক্ষেপেছিল। সে কারণে সালমান এফ রহমান এ হত্যাকাণ্ডে পুরো ফান্ডিং করেছে।”
তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ডে জড়িত এরা সবাই শেখ হাসিনার প্রিয় লোক। তাই হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। অসমাপ্ত তদন্তের ভিত্তিতে সুষ্ঠু বিচার হতে পারে না। আমি আশাবাদী এ সরকারের সময়ে না হয় ভবিষ্যতে একটা বিচার হবে। শুধু কিবরিয়া হত্যা নয়, হাজার হাজার পরিবার স্বজন হারানোর বিচার পায়নি। আমরা সেই বিচারের অপেক্ষায় রইলাম।”
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন ৫০ জন। উক্ত ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু'টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা। বর্তমানে এ মামলা সিলেট স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
ঢাকা/মামুন/টিপু