ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ছেলেদের তরুণ তারকা কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। আশা করেছিলেন ২৫তম গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপাটা জিততে পারবেন। কিন্তু সার্বিয়ান কিংবদন্তির কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জেতা হলো না ইনজুরিতে কারণে। বাধ্য হয়ে সেমিফাইনালের প্রথম সেট শেষেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। যে কারণে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে চলে গেছেন জার্মান তারকা আলেক্সান্দার জভেরেভ।
প্রথম সেটে ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই তারকার। এতে জোকোভিচকে ৭-৬ (৭/৫) ব্যবধানে হারিয়ে দেন জভেরেভ। এই সেটের খেলাচলাকালীন সময়ই বাঁ পায়ে চোট পান ৩৭ বছর বয়সী তারকা জোকোভিচ। যে কারণে দ্বিতীয় সেটে খেলতে নামেননি সার্বিয়ান তারকা।
জোকোভিচের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিলেন জভেরেভ। জোকোভিচের সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত পেয়ে যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না জার্মান তারকা। তবে সার্বিয়ান তারকার প্রতি যথেষ্ঠ সম্মান প্রদর্শন করেছেন তিনি। ম্যাচ শেষে জোকোভিচকে সান্ত্বনা দিতেও দেখা গেছে জভেরেভকে।
মেলবোর্নের রেড লেভার অ্যারেনা থেকে বের হওয়ার সময় দর্শকদের কেউ কেউ দুয়োধ্বনি দেন জোকোভিচকে লক্ষ্য করে। আবার অনেকেই জানিয়েছেন অভিবাদন।
সেমি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর জোকোভিচ বলেন, ‘প্রথম সেট শেষে ব্যথা ক্রমেই বাড়ছিল। এই মুহূর্তে এটা সামলে (খেলার মতো) পরিস্থিতিতে আমি নেই। আমি জানতাম প্রথম সেট জিতলেও দুই, তিন কিংবা চার ঘণ্টা তার সঙ্গে লড়াইয়ের পাহাড় ডিঙাতে হতো, যেটা আজ আমার ভেতরে নেই।’
এদিকে জোকোভিচকে লক্ষ্য করে দর্শকদের দুয়োধ্বনিকে ভালোভাবে নেননি জভেরেভ। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘সবার আগে যে কথাটা বলতে চাই, দয়া করে চোটের কারণে কোনো খেলোয়াড় সরে দাঁড়ালে তাকে দুয়ো দেবেন না। জানি, সবাই অর্থ খরচ করে টিকিট কিনেছেন এবং পাঁচ সেটের দারুণ ম্যাচ দেখতে চান সবাই। কিন্তু আপনাদের এটাও বুঝতে হবে, ২০ বছর ধরে নোভাক জোকোভিচ টেনিসকে সর্বস্ব নিংড়ে দিয়েছেন। তিনি এই টুর্নামেন্ট তলপেটের চোট নিয়ে জিতেছেন, হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে জিতেছেন। তার এই ম্যাচে খেলা চালিয়ে যেতে না পারার অর্থ হলো, সত্যি সত্যিই সেটা অসম্ভব।’
৭ বছর পর গেল ২০২৪ সালে কোনো গ্র্যান্ডস্লাম জিততে পারেননি জোকোভিচ। সর্বশেষ গ্র্যান্ডস্লাম জিতেছিলেন ২০২৩ সালে, ইউএস ওপেনে। আগামী তাকে টেনিসের কোর্টে দেখা যাবে কি না তা এখন অনিশ্চিত।
এমএইচ/এএসএম