ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ আপডেট: ১০:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইসতিয়াকের আদালতে নেওয়া হয় সাবেক বিচারপতি মানিক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৭ আসামিকে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার বাড্ডায় অটোরিকশাচালক হাফিজুল শিকদারকে হত্যার মামলায় সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ৭ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইসতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম সারওয়ার পিন্টু।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের ঢাকা মেট্রোর উত্তরের পরিদর্শক রিদুয়ানুল হক তাদের ৫ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি সরণী এলাকায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন অটোরিকশা চালক হাফিজুল শিকদার (২৯)। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনের জন্য আসামিদের ছোঁড়া গুলি হাফিজুলের বাম পাজরে লেগে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট তার পরিবার বাড্ডা থানায় মামলা করে।
ছাত্র-জনতার ওই আন্দোলন অগাস্টের শুরুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ পাওয়ার পর সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ৫ অগাস্ট আন্দোলনকারীদের ঢাকামুখী লং মার্চের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এরপর সরকারের মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ আগেই দেশে ছেড়েছেন বলেও খবর আসে। গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন অনেকে।
ঢাকা/মামুন/ইভা