হবিগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী পলো বাইচ উৎসব

1 day ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

হবিগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাইচ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া বড়আন বিলে এবং নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে এ উৎসবের আয়োজন করে এলাকাবাসী। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারের অধিক মাছ শিকারি আয়োজনকে মাতিয়ে তোলেন।

জানা যায়, প্রতি বছর শীত মওসুমে হাওরের পানি কমতে শুরু করলে বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া, সুবিদপুর, কাটখাল, মিঠাপুর, দরওয়া, মেওতুল, নাগুরা, কবিরপুর, সুনারু, বলাকীপুরসহ আশপাশের গ্রামের মুরুব্বিরা বসে পলো দিয়ে মাছ শিকারের তারিখ নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দিনে কয়েক হাজার লোক পলো, জাল, দড়িসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে বিলে হাজির হন। মাছ শিকার উৎসব উপলক্ষে আশপাশের গ্রামগুলোতে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। শিকারিদের অনেকেই বোয়াল, গজার, শোলসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরেন।

হবিগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাইচ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া বড়আন

অপরদিকে নবীগঞ্জের বিজনা নদীতে একই সময়ে পলো বাইচের আয়োজন করেন নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। এতে শুধু হবিগঞ্জ ছাড়াও পাশের মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এসে অংশ নেন। পলো বাইচকে কেন্দ্র করে এসব গ্রামে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।

আতুকুড়া গ্রামের আশিক মিয়া বলেন, পলো দিয়ে একটি গজার এবং তিনটি বোয়াল মাছ ধরেছি। মাছ ধরে খুব আনন্দ লাগছে।

একই গ্রামের সমুজ আলী আখঞ্জী বলেন, আমি একটি বড় গজারসহ তিনটি মাছ ধরেছি। দেশীয় এসব মাছ শিকার করতে পেরে খুশি লাগছে। প্রতি বছরই পলো দিয়ে মাছ শিকার করতে বিলে যাই।

হবিগঞ্জে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাইচ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া বড়আন

আতুকুড়া গ্রামের আব্দুল হেকিম জানান, পলো বাইচের আগে বিলে জাল ফেলে মাছ ধরে নেন ইজারাদাররা। ফলে বাইচে শিকারিরা তেমন মাছ পান না। এছাড়া বাইচ শেষে বিলে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়। এতে মাছের বংশ বিস্তার বিনষ্ট হয়। তাই বিলে যেন বিষ দিয়ে মাছ নিধন না করা হয় সেদিকে সরকারকে সুনজর দিতে হবে। এ উৎসব আমাদের ঐতিহ্য। একে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

নবীগঞ্জের বড়গাও গ্রামের শামিম আহমেদ বলেন, বিজনা নদীতে মাছ শিকারিরা এবার হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন। কারণ সবার হাতেই ছিল বড় বড় মাছ। মাছ পেয়ে শীতের কষ্ট লাঘব হয়েছে।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএইচ/এমএস

Read Entire Article