ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি বলেছেন, “২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
দুদক জানিয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম, যেমন: দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়া দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং দুদকেও কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।
অভিযোগ আছে যে, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এ নির্বাচন করা হয়েছে। এ নির্বাচনে দুর্নীতির সঙ্গে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী; পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী ও শহিদুল হক, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা জড়িত।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুদকের এক উপ-পরিচালকের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। তারা অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ, নির্বাচনের ফলাফল শিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।