২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিতদের আপিল শুনবেন সুপ্রিম কোর্ট

2 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত প্রায় ১২০০ জনের লিভ টু আপিল মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ৪ ডিসেম্বর তাদের আবেদনের ওপর আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

পৃথক তিনটি রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।

২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ওই বছরের ৩০ মে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ওই বছরের ১ জুলাই প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে এবং দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।

২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। তার আগে ওই বছরের ২৯ জুলাই দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে সরকারপক্ষ। ২০১০ সালের ১১ জুলাই আপিল বিভাগ সেই লিভ টু আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ।

পরে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়। চূড়ান্ত সুপারিশের পর যখন প্রায় ১২০০ জন চাকরিতে ঢুকবেন, তখন ওই সিদ্ধান্ত হয়। পরে দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষার বিরুদ্ধে মামলা হলো। হাইকোর্ট বিভাগে আবেদনকারীরা জিতেছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ সিপিতে (লিভ টু আপিল) বলেছিলেন দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা কারেক্ট (সঠিক) ছিল। আজ সেটা রিভিউ করলাম।

তিনি বলেন, আমরা বলেছি কোর্ট লিভ টু আপিল মঞ্জুর না করে রায় বাতিল করেছিলেন, এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থি। এই যে ২৭তম বিসিএসের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রায় ১২০০ জন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন। আদালত আমাদের লিভ মঞ্জুর করেছেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর শুনানির জন্য আপিল হিসেবে আসবে।

কেন তাদের বাদ দেওয়া হলো এ প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী বলেন, ‘জনমনে আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যে। আমরা বলেছি এটা কোনো কারণ হতে পারে না। তদন্তের পর তৎকালীন পিএসসির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমে বলেছিলেন- কোনো অনিয়ম পাননি। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় এটা হয়েছে।

এফএইচ/বিএ/জেআইএম

Read Entire Article