‘আমি সুখী হইলাম, বন্ধুরা আমার গাড়িতে উঠসে’

2 days ago 4
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

‘আমি সুখী হইলাম, আমার বন্ধুরা আমার গাড়িতে উঠসে’, নিজের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন লোকগানের শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে তিনি এখন পৌঁছে গেছেন নতুন প্রজন্মের হাতে হাতে। ভিডিওতে দিলেন সুখী হওয়ার বার্তা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় কুদ্দুস বয়াতি নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন। ফেসবুকে নিয়মিত ভ্লগ পোস্ট করেন। সম্প্রতি বাল্যবন্ধুদের নিজের গাড়িতে তুলে জুমার নামাজে যাওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘একসময় সাইকেল কেনার পয়সা ছিল না। স্বপ্ন পূরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেলে উপায় হয়। এক টাকা থেকে আরম্ভ করেছি, একটা সাইকেল কেনার মতো আমার ক্ষমতা আল্লাহ দিছিল না। এখন সব কিছুই আল্লাহ দিচ্ছে। আল্লাহর কাছে প্রচুর শুকরিয়া। মানে আমি সুখী, প্রচুর সুখী। সবাই আমাকে ভালোবাসে।’

‘আমি সুখী হইলাম, বন্ধুরা আমার গাড়িতে উঠসে’

বন্ধুদের গাড়িতে তুলতে তুলতে কুদ্দুস বয়াতি বলেন, ‘আজকে আমি সুখী হইলাম, আমার বন্ধুদের আমার গাড়িতে তুলতে পেরেছি, দেখাতে পেরেছি। এখন আমি চলছি আমার বাবা, দাদা যে মসজিদে নামাজ পড়তো, সেই মসজিদে নামাজ পড়তে।’

শৈশব থেকেই গান-বাজনা সঙ্গে জড়িয়ে আছেন কুদ্দুস বয়াতি। ধীরে ধীরে নিজেকে লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ান বাদশা, কাঞ্চন বাদশা, হাতেমতাইসহ অনেক ধরনের পালাগানের আসরে গান করেন তিনি। ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘এই দিন দিন না আরও দিন আছে’ গানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান কুদ্দুস বয়াতি।

‘আমি সুখী হইলাম, বন্ধুরা আমার গাড়িতে উঠসে’

বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গানটি গেয়েছিলেন কুদ্দুস বয়াতি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বের অনেক দেশে গিয়ে সেখানকার প্রবাসী বাঙালিদের গান শুনিয়েছেন তিনি।

এমআই/আরএমডি/জিকেএস

Read Entire Article