ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মণি-সাদেক খানের আবার রিমান্ড

15 hours ago 6
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের আবার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

জাসদ সভাপতি ইনু ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার আমলে তারা দাপুটে মন্ত্রী ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা অনেক মামলায় নাম রয়েছে তাদের। এর আগেও কয়েক দফায় তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। 

ইনু, মেনন, দীপু মণির চার দিন করে রিমান্ড 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীপু মণিকে চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রীত্ব ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এই তিন নেতার সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানির সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে পিটিশন জমা দেন আসামিদের আইনজীবীরা। তবে আইনজীবীরা শুনানি করেননি। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওবায়দুলের স্বজন মো. আলী।

আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হেফাজতে নিয়ে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত সংস্থা অ্যান্ট্রি টেররিজম ইউনিট তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এদিন শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।

সাদেক খানেরও তিন দিনের রিমান্ড 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহত হওয়ার মালায় এই নির্বাচনি এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে সাদেক খানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

আইনজীবী না থাকায় সাদেক খান নিজে কিছু বলবেন কি না, তার কাছে সেটি জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান বলেন, “আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাব কোথায়?”

এসময় তাকে থামিয়ে দেন এক আইনজীবী। তখন তিনি বলেন, “আমাকে তো আদালত বলতে বলেছেন।”

পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত বছরের ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

Read Entire Article