ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ২১:২২, ১৭ মার্চ ২০২৫
নিরাপত্তা চুক্তির প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান এবং অব্যাহত আঞ্চলিক উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে জাপান তার দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উত্তর কোরিয়া ও চীনের উপকূলীয় অঞ্চলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। আগামী বছর বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র গ্যারিসনসহ দুটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মোতায়েনের কথা রয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, জাপান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওকিনাওয়া দ্বীপ শৃঙ্খলের প্রতিরক্ষা জোরদার করবে এবং এটি আক্রমণের ক্ষেত্রে জাপানের ‘পাল্টা আক্রমণ ক্ষমতা’ উন্নয়নের অংশ।
ফুকুই প্রিফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক ইয়োইচি শিমাদা বলেন, “চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই জাপানের পক্ষে আরো কার্যকর অস্ত্র ব্যবস্থার মাধ্যমে এর মোকাবিলা করা স্বাভাবিক। আমি মনে করি জাপানের উচিত আরো শক্তিশালী নিরাপত্তা গড়ে তোলার জন্য দ্রুত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া।”
৬ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, “জাপানের সাথে আমাদের একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক রয়েছে, তবে জাপানের সাথে আমাদের একটি আকর্ষণীয় চুক্তি রয়েছে যা আমাদের তাদের রক্ষা করতে হবে, কিন্তু তাদের আমাদের রক্ষা করতে হবে না। চুক্তিটি এভাবেই লেখা আছে ... এবং যাইহোক, তারা আমাদের সাথে অর্থনৈতিকভাবে ভাগ্য তৈরি করে। আমি আসলে জানতে চাই কে এই চুক্তিগুলো করে?”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য উদ্বিগ্ন করে তুলেছে জাপানকে।
টোকিওর টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়ের রবার্ট ডুজারিকের মতে, “যারা এটি মনোযোগ সহকারে দেখছেন তাদের কাছে এটা স্পষ্ট যে মার্কিন-জাপান জোট খারাপ অবস্থায় রয়েছে। চীন যদি জাপান আক্রমণ করে, তবুও ট্রাম্পের অধীনে আমেরিকা কিছু করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা একটা বড় সমস্যা।”
ঢাকা/শাহেদ