লুটেরাদের নয়, জনগণের শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে হবে: জোনায়েদ সাকি

5 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের দিয়ে লুটপাটের উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। দেশ থেকে টাকা পাচার করেছে, কেউ কথা বললে তাকে গুম করা হয়েছে, খুন করা কয়েছে, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, লুটেরাদের শাসনব্যবস্থা বদলিয়ে জনগণের শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে পারলে গণতন্ত্র কায়েম হয়ে যাবে। এই বাংলাদেশ খেটে খাওয়া মানুষের বাংলাদেশ।

সোমবার (১৭ মার্চ) আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) গণইফতার কার্যক্রমের ১৬তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এবি পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণইফতারের আয়োজন করছেন, যা প্রসংশনীয় উদ্যেগ। এমনি এমনিতো এই রাষ্ট্র আমরা পাইনি, যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেয়েছি। যোদ্ধা হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। সম্পদ তৈরি করেন আপনারা (খেটে খাওয়া মানুষ) আর ভোগ করে অল্প সংখ্যক লোকেরা। এভাবে চলতে পারে না। এই দেশ হবে খেটে খাওয়া মানুষের।

শেখ হাসিনা কি এমনি এমনি পালিয়েছেন- এমন প্রশ্ন রেখে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ১৬০০ মানুষের জীবনের বিনিময়ে হাসিনাকে পালাইতে হইছে। হাসিনা পালানোর মধ্যে দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির সুযোগ হয়েছে, সেটি আমরা হেলায়ফেলায় বেহাত হতে দেবো না। এজন্য পুরাতন রাজনীতি ছুড়ে ফেলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। পুরাতন বন্দোবস্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এজন‍্য ২৪ পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানে এই সময়ে রাষ্ট্রকে জতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সব নাগরিকের সমান মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন বাংলাদেশে কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না। মবের নাম করে আইনশৃঙ্খলা নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই রাষ্ট্রে শেখ হাসিনার মতো শাসকগোষ্ঠী কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শাসন করেছেন। যার ফলে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনাকে পালাতে হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের তিনটি কাজ করতে হবে, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার কে করবে? জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যার বিচার করে যেতে হবে এই সরকারকেই। বিচার ও সংস্কার শেষ করার পরই নির্বাচন করতে হবে। নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত না হলে বাংলার জনগণ কখনো আপনাদের ক্ষমা করবে না। শুধুমাত্র পার্লামেন্টের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দেশ চালালে হবে না, আমার ফুটপাতের মানুষের মতামতও নিতে হবে।

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণইফতার কার্যক্রমে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কেফায়েত হোসাইন তানভীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব বারকাজ নাসির আহমদ,পল্টন থানা আহ্বায়ক আবদুল কাদের মুন্সী, যুব নেতা ইমরান হোসেন শিবলু প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর

Read Entire Article