ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
দিনাজপুর সদরের চেরাডাঙ্গী মেলায় উদ্বোধনের দুদিন আগেই জমে উঠেছে ঘোড়ার বাজার। মেলায় এরইমধ্যে ৩০০ ঘোড়া এসেছে। উদ্বোধনের দিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ঘোড়ার আসবে বলে জানান আয়োজকরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মেলার উদ্বোধন হবে।
জানা যায়, বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘোড়া নিয়ে মেলায় এসেছেন ব্যবসায়ীরা। রাজা, বিজলী রানী, রাস্তার পাগল, রংবাজ, পারলে ঠেকাও, কাজলি, তাজিয়া, কুমার রাজা, বিজলী, বাহাদুর এমন বাহারি নামের ঘোড়া দেখা গেছ।
জনশ্রুতি আছে, ৭৮ বছর আগে শুরু হওয়া এই মেলায় আগে গরু, ছাগল, ঘোড়া, মহিষসহ উট ও দুম্বা বিক্রি হতো। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব প্রাণী আনা হতো। বর্তমানে শুধু গরু, মহিষ ও বেচাকেনা হয়। প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ মেলা ঘিরে প্রায় ২০ গ্রামে থাকে উৎসবের আমেজ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় বিনোদনের জন্য যাত্রা, সার্কাস, পুতুলনাচের আয়োজন রাখা হয়েছে। এছাড়া কাঠ, স্টিল ও প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, মিষ্টান্ন, মসলা, জুতা ও কাপড় বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান রয়েছে।
নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলা থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা মো. দুলাল হোসেন জানান, তারা তিন ভাই মিলে তিনটি ঘোড়া নিয়ে এসেছেন। এসব ঘোড়ার নাম বাহাদুর, বিজলী রানী ও রাস্তার পাগল। ঘোড়া তিনটি অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন। একেকটি ঘোড়ার দাম হাঁকছেন এক লাখ টাকা। প্রথম দিন কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় বিক্রি করেননি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা থেকে এসেছেন আজাহার আলী। দ্রুত গতির জন্য ঘোড়ার নাম দিয়েছেন ‘পারলে ঠেকাও’।
দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ থেকে ঘোড়া নিয়ে আসা মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গত বছর তার ঘোড়ার নাম দিয়েছিলেন ‘কিরণ মালা’। সেটি মহিলা ঘোড়া ছিল। এবার পুরুষ ঘোড়ার নাম দিয়েছেন রংবাজ। ৮০ হাজার টাকা পেলে রংবাজকে বিক্রি করে নতুন ঘোড়া কিনবেন।
দিনাজপুর শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকার মোকাররম হোসেন শখের বসে একটি ঘোড়ার বাচ্চার দামদর করছিলেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ভাবছি একটা ঘোড়া কিনব এবং বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের জন্য লালন পালন করবো। এবার চেরাডাঙ্গী মেলা থেকে ঘোড়ার বাচ্চা কেনার চেষ্টা করছি। কিন্তু দাম বেশি। তাই এখনও ঘোড়া কিনতে পারিনি।
এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এএসএম