একুশে পদক পাচ্ছেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতা আজিজুর রহমান

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

দেশৗয় চলচ্চিত্রের অন্যতম খ্যাতিমান নির্মাতা প্রয়াত আজিজুর রহমান এবারের একুশে পদক পাচ্ছেন। সিনেমায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য তাকে পদক দেওয়া হচ্ছে। আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৫ সালেরর একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

আজিজুর রহমান নির্মিত সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘ছুটির ঘণ্টা’ ১৯৮০ সালে মুক্তি পায়। শিশুতোষ এ সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শকরে কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটির গল্প লেখা হয়। ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে সবার অজান্তে তালাবদ্ধ হয়ে আটকে পড়ে একটি ১২ বছর বয়সের ছাত্র। আর তালাবদ্ধ বাথরুমে দীর্ঘ ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতিক্ষার মধ্য দিয়ে। হৃদয় বিদারক নানা ঘটনা ও মুক্তির কল্পনায় ১০ দিন অমানবিক কষ্ট সহ্য করার শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এমনই একটি করুণ দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এ সিনেমায়।

‘ছুটির ঘণ্টা’ সিনেমার মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছে শিশু শিল্পী সুমন ও অন্যান্য চরিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাক, শাবানা, সুজাতা, শওকত আকবর ও এ টি এম শামসুজ্জামান।

নির্মাতা আজিজুর রহমান ২০২২ সালের ১৪ মার্চ মারা যান। তিনি ১৯৩৯ সালের ১০ অক্টোবর বগুড়ার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রূপচান প্রামাণিক। তিনি স্থানীয় আহসানুল্লাহ ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পাস ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। চারুকলা আর্ট ইনস্টিটিউটে কমার্শিয়াল আর্টে ডিপ্লোমা করেছেন।

নির্মাতা আজিজুর রহমান অনেক জনপ্রিয় সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ১৯৫৮ সালে ‘এ দেশ তোমার আমার’ চলচ্চিত্রে এহতেশামের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এ চিত্রনির্মাতা। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ময়মনসিংহের লোককথা নিয়ে ‘সাইফুল মূলক বদিউজ্জামান’। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। আজিজুর রহমান ৫৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘মাটির ঘর’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘ডাক্তার বাড়ি’, ‘গরমিল’ ও ‘সমাধান’ ইত্যাদি।

এমএমএফ/জেআইএম

Read Entire Article