ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১৬ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রমাণ বিনষ্ট করার অভিযোগসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো স্মারকলিপিতে এসব দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সঙ্গে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন।
পাশাপাশি ৩০৬ কোর্সের বিফোর ফাইনালের ফলাফল অ্যাসাইনমেন্ট মিড নেওয়া ব্যতীত নাম্বারিং করার অভিযোগও করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ড্রাইভে লিংক নষ্ট হওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। তাই তদন্তের বিষয় জানতে আমরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে গেলে তিনি আমাদের একটি লিখিত দিতে বলেন। সে ক্ষেত্রে আমরা লিখিত স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, “প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে এসেছিল। তারা এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে এবং আমি তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।”
গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো বার্তায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ওই ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়। এছাড়া তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী