ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
খুলনার বাজারে কমেছে সবজির দাম। হাতেগোনা কয়েকটি সবজি ব্যতীত অন্যান্য সবজির দাম রয়েছে ক্রেতা সাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।
বুধবার (১৯ মার্চ) খুলনার গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, দৌলতপুর বাজার এবং ময়লাপোতা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন আকার ভেদে ৪০-৫০ টাকা, লালশাক, পালং শাক ও কলমি শাক ২০-৩০ টাকা কেজি দরে, লাউ ২০-৩০ টাকা প্রতি পিস, কুমড়া ২০-৩০ টাকা কেজি, গাজর ২৫-৩০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ৫০-৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি।
বাজারে টেংরা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, পারশে ৬০০ টাকা, ঘেরের তেলাপিয়া ১২০-১৪০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, মাঝারি ভেটকি ৪০০ টাকা, মাঝারি রুই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, পাঙাশ ১২০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮২-৮৬ টাকা, স্বর্ণা চাল ৫৫-৬০ টাকা, পুরাতন আটাশ ৬২-৬৫ টাকা, প্যাকেটজাত পোলাও চাল ১৫০ টাকা ও খোলা চাল ১২০-১৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
গল্লামারি বাজারের সবজি বিক্রেতা সেকেন্দার মিয়া বলেন, রমজানের শুরু থেকে শাকসবজির দাম অনেক কমেছে। সব সবজিতে ১০-১৫ টাকা করে কমেছে। তবে লেবুর দাম অনেক। তাই পাইকারি বাজার থেকে লেবু আনছি না।
নিউ মার্কেট বাজারের চাল ব্যবসায়ী সরাফাত আকন বলেন, চালের দাম এখনো কমেনি। মিনিকেট চাল ২৫ কেজির বস্তা বিক্রি করলে আমাদের গড়ে ১০০-১৩০ টাকা লাভ হয়। দোকান চালাতে গেলে এটুকু লাভ না করলেতো খরচ ওঠানোই কষ্টকর।
রুপসা বাজারের মাছ বিক্রেতা হেমায়েত ব্যাপারী বলেন, রমজান মাসে মাছের দাম বাড়েনি। তবে মাছের ফিডের দাম বাড়তি বলে ঘেরের মাছেরও দাম বেশি। ফিডের দাম কমলে মাছের দামও কমে যাবে।
গল্লামারি বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, শাক-সবজি, আলু, পেঁয়াজের দাম অনেক কমেছে। চালের দাম কমেনি। তবে সবজির বাজার স্বাভাবিক থাকলে মনে শান্তি লাগে। এ সপ্তাহে ১০০ টাকায় চার পদের সবজি কিনতে পেরেছি।
মিস্ত্রি বাজারে আসা আকাশ মণ্ডল বলেন, ব্যাচেলর থাকি, বিধায় সবজি আর ডিমের ওপর বেশি নির্ভর করতে হয়। সেটা মোটামুটি লাগামের মধ্যে রয়েছে। তবে তেল ও চালের দাম আরেকটু কমলে স্বস্তি আসতো।
মো.আরিফুর রহমান/এফএ/জেআইএম