ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা দিবস পালিত

11 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা।

এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যাকে উপজীব্য করে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, “১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ গণহত্যা আরো বেদনাবিধুর। কেননা, এ গণহত্যায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি।”

তিনি বলেন, “এ স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানীদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীরসেনানীদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতা আছে। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনের পরিচয় প্রদানকারী একেকটি মাইলফলক। বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং ন্যায্যতার প্রশ্নে প্রতিবারই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। এসব গৌরবময় ইতিহাস আমরা যেন ভুলে না যাই।”

আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জগন্নাথ হলের গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় এক মিনিট ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এছাড়া, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

Read Entire Article