ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা জীবনের বিনিময়ে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদের এ অবদান সারাজীবন মনে রাখতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে যে সব সন্ত্রাসী বাহিনী নির্যাতন, খুন-গুম চালিয়েছে আমরা তাদের কোনো সুযোগ দিতে চাই না।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হরিহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রান্তিক খামারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তরিকুল ইসলাম তুর্কির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, পাকিস্তান হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ, মার্কিন কোম্পানি হোয়াইট ব্রিজের প্রধান অপারেশন অফিসার গ্যাব্রিয়েল পিনেডাস ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, গত বছর এ দিনে আমরা জানতাম না কখনো এভাবে উন্মুক্ত পরিবেশে কথা বলতে পারব। ফ্যাসিবাদ আমাদের দমিয়ে রেখেছিল। তারা আজ পালিয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। কিন্তু তাদের দোসররা এখনো আমাদের আশেপাশে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মাঝে বরাদ্দ দিতে হবে। বিগত দিনে অনেক অমৎস্যজীবীদের হাতে দেশের বিল-বাওড় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিল-বাওড় বরাদ্দে জলমহাল নীতিতে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। জলমহাল নীতি সংশোধন করে আমরা বিল-বাওড় প্রকৃত মৎস্যজীবীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই।
দেশের কৃষি ও প্রান্তিক খামারিদের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক সহায়তা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছে। দুধ, দুগ্ধজাতপণ্য, শিশুখাদ্য ও মাংস আমদানি কমিয়ে কিভাবে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়েও আমরা কাজ করছি।
সম্মেলনে এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. মো. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ও তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/জিকেএস