তরুণদের প্রতি আস্থা রাখার আকুতি রাউফের 

13 hours ago 4
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাজে পারফরম্যান্সের পর বড় পরিবর্তন এসেছে পাকিস্তান দলে। মোহাম্মদ রিজোয়ান ও বাবর আজমদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের বাদ দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছে তারা।

তবে কিউইদের বিপক্ষে পরপর দুটি ম্যাচে কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতা না গড়েই হারতে হয় পাকিস্তানকে। তবে দেশটির গতি তারকা হারিস রাউফ আহ্বান জানালেন তরুণদের প্রতি আস্থা ও ধৈর্য রাখার। এই পেসারের বিশ্বাস নবাগতদের প্রতি বিশ্বাস রাখলে ভবিষ্যতে পুরস্কৃত হবে দলই।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এই সিরিজে আব্দুল সামাদ, হাসান নওয়াজ এবং মোহাম্মদ আলীর মতো ক্রিকেটাররা খেলেছেন প্রথম দুই ম্যাচেই। যারা  আবার নিউ জিল্যান্ড সফরের মাধ্যমেই পাকিস্তান স্কোয়াডে প্রথম ডাক পেয়েছিলেন।

এই ত্রয়ীকে সমর্থন জানিয়ে রাউফ সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা সমালোচনার কথা বলেন, আমি মনে করি এটা পাকিস্তানে সাধারণ হয়ে গেছে। এরা তরুণ খেলোয়াড়। আপনি পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যান, যে কোনো দলের দিকে তাকান, তারা তরুণদের পুরো স্বাধীনতা দেয়। যদি তারা তরুণদের সুযোগ দেয়, তবে তারা ১০-১৫টি ম্যাচের সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে তারা খেলোয়াড় হয়ে ওঠে।”

রাউফের মতে তরুণরা সব সময়ই প্রথমে সংগ্রাম করেন। তবে তাদের সঙ্গে কজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থালে সে ব্যাপারটা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। পাক্সিতানের এই দলে তরুণ এবং অভিজ্ঞতার সেই মিশ্রণটা আছে। রাউফ বলেন, “যে কেউই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসলে, শুরুতে সংগ্রাম করে। আপনি সমালোচনার কথা বলছেন, এটা এখন একটা প্রথা হয়ে গেছে। সবাই বসে থাকে এবং পাকিস্তান দল হারলে তারা সেই নিয়ে কথা বলে।”

রাউফ আরও যোগ করেন, “সমালোচকদের মতামত আছে, কিন্তু আমরা আমাদের দল গড়ার চেষ্টা করছি। আমরা তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি, সিনিয়ররা সেখানে আছেন। আমরা সিনিয়ররা আমাদের জুনিয়রদের অনুপ্রাণিত করি, এবং তাদের পরামর্শ দেই যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল হতে কী কী দরকার। তারা যত দ্রুত শিখবে, তাদের জন্য তত ভালো হবে।”

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটের হারার পর, পাকিস্তান মঙ্গলবার (১৮ মার্চ, ২০২৫) বৃষ্টিতে সংক্ষিপ্ত হওয়া দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে হারে। ১৫ ওভারে পাকিস্তানকে ১৩৫/৯ রানে সীমাবদ্ধ রাখার পর, ব্ল্যাক ক্যাপসরা ১১ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য অতিক্রম করে।

রাউফ বিশ্বাস করেন, পাকিস্তানের পেসাররা ডানেডিনে ভাল পারফর্ম করলেও ভাগ্য সহায় হয়নি, “সব খেলোয়াড়ই চেষ্টা করেছে। এখানে যে ধরনের মাঠ রয়েছে, সেখানে সাধারণত আমরা হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখি। এমন না যে, আমরা ভালো বলিং করিনি, আমাদের ভাগ্য কিছুটা খারাপ বটে। কয়েকটি টপ এজ ছিল যেগুলো ছক্কা হয়ে গেছে, মাঠ ছোট সাথে বাতাসের কারণে বল ওভার বাউন্ডারি হয়ে গেছে। আমরা বোলিং ইউনিট হিসেবে চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা চাওয়া অনুযায়ী ফল পাইনি।”

রাউফ আশাবাদী যে, নবাগতদের প্রতি আস্থা রাখা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। কারণ পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য অর্জনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, যা তরুণরাই এনে দিবে। রাউফ বলেম, “এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আমাদের ক্রিকেট ধীরে ধীরে অবনতির দিকে গেছে। তবে আমরা একটি দল হিসেবে গড়ছি এবং একটি সমন্বয় তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন জিনিস চেষ্টা করছি। যখন নতুন কিছু চেষ্টা করবেন তখন কিছু পরাজয় আসবেই। কিন্তু আমরা শিখব। ভবিষ্যতে এমন এক দিন আসবে যখন আপনি পাকিস্তান দলের ভালো ক্রিকেট দেখতে পাবেন।”

Read Entire Article