তুরস্কের ইতিহাসে ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই বছর, এখনো চলছে পুনর্বাসন

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের দুই বছর পূর্তি হলো। তবে দেশটিতে এখনো হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত। বহু মানুষ অস্থায়ী ঘরে বসবাস করছেন। কারণ পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এখনো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

এদিন সকাল থেকেই আন্তাকিয়ার বাসিন্দারা দিনটির স্মরণে জড়ো হতে থাকেন। ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই শহরটি।

আরও পড়ুন>

সেদিন তুরস্কের দক্ষিপূর্বাঞ্চলের ১১ প্রদেশ ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। এতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় ও আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। মূলত শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোয়ান বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে ভূমিকম্পের দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুই লাখ এক হাজার ৪৩১টি ইউনিট প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যদিও ভূমিকম্পের কয়েক দিন পরেই এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সাড়ে ছয় লাখ বাড়ি তৈরি করা হবে এবং তিন লাখ উনিশ হাজার এক বছরের মধ্যে হস্তান্ত করা হবে।

পরিবেশ ও নগরায়ন মন্ত্রী মুরাত কুরুম জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠনে এখন পর্যন্ত ৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জটিল অবকাঠামোর নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এই ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও। ১৯৯৯ সালের পর এটাই ছিল তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

১৯৯৯ সালের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

Read Entire Article