তুলসির মূলে কার জল?

17 hours ago 6
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, ভুটান, গাম্বিয়াসহ ৪৩টি দেশের নাগরিকদের নানান ক্যাটাগরিতে মার্কিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশকে ফেলার আয়োজনটি চরম মার খেয়েছে। এরপরও হাল ছাড়ছে না আয়োজকমহল। সামনে কোনো না কোনো সময় চান্স আসতেও পারে বলে আশা তাদের। সেই আশায় চলছে অন্তহীন চেষ্টা। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ, তাদের ঘরবাড়ি দখল, জ্বালাও-পোড়াও, মাজারে আক্রমণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধা, নারীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তি কিংবা পোশাকের কারণে নারীদের হেনস্থা করার মতো কিছু ঘটনাকে রঙিন মোড়কে সামনে এনে বাংলাদেশে উগ্রবাদের উত্থানের কাহিনী প্রচার এজেন্ডা আরো জোরদার করা হয়েছে।

দেশের কয়েক জায়গায় ধর্ষণ, আইন শৃংখলার অবণতি, ভঙ্গুর অর্থনীতিতে যারা মনে করেছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার দেশি-বিদেশি চাপে পড়ছে; এমনকি সামরিক অভ্যুত্থানের গুজবও ছড়ানো হয়েছে। এ রকম সময়েই সফরে আসা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের ওপর নির্ভর করতে পারে’। ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্টও দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গোলটেবিল বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, এ সময়টা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একটি অংশগ্রহণমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নির্মাণের এই পথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও উচিত বাংলাদেশের পক্ষে তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকাটি পালন করা।

বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষার অন্যতম বৃহত্তম অবদানকারী দেশ উল্লেখ করে গুতেরেস বিশ্বে সবচেয়ে কঠিন ও বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সফরকালে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও। তারা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার প্রশংসা করেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ ও জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। জানান, ‘বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এ রকম একটা নির্ভার সময়েই ভারত সফরে গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবর্ড। সেখানে বাংলাদেশ পরিস্থিতি, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন 'গভীর উদ্বিগ্ন' বলে তার দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মহল বেশ আশাবাদী। ইউরেকা-ইউরেকা ভাবভঙ্গি। বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান বদলে গেছে-এ মর্মে তাদের প্রচারণা বেশ জোরদার। তুলসির মূলে জল ঢালা এবং এ সংক্রান্ত চাষাবাদে যারপরনাই ব্যতিব্যস্ত তারা। ঢাকা-দিল্লি দুইখানেই অনেকটা আকস্মিক প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ গোয়েন্দা প্রধান। তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালুঘুদের নির্যাতন ও হত্যা এবং দেশে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হুমকি রয়েছে মন্তব্য করে মোটামুটি একটা ভিন্ন আবহ তৈরি করে দিয়েছেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাড়া জাগানো সফর, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে নিয়ে কক্সবাজারে লাখো রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার, ইউনূসের চীন সফরের সময় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আসন্ন বিশেষ বৈঠক, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ইত্যাদি মিলিয়ে গোলমেলে অবস্থার মাঝে তারা হালে কিছুটা পানি পেয়েছেন তুলসির সাক্ষাৎকারটিতে।

মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা তুলসি গ্যাবার্ড ২০২৫ সালের শুরু থেকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের ৮ম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক সময় হাওয়াই রাজ্যে সর্বকনিষ্ঠ আইনপ্রণেতা ছিলেন। ডেমোক্র্যাট দলে ছিলেন ২০০২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন ২০২৪ সালে। তিন দিনের ভারত সফরে এসে গ্যাবার্ড সে দেশের চ্যানেল এনডিটিভি-কে ১৭ মার্চ সাক্ষাৎকার দেয়ার পাশাপাশি বার্তা সংস্থা এএনআই-কেও সাক্ষাৎ দেন। সেখানে তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, 'ইসলামি সন্ত্রাসবাদের বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে।' তাৎক্ষণিক তুলসির এসব কথার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাংলাদেশ। তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্য কোনো প্রমাণ বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বিবৃতিতে ঝাঁঝালো ভাষায় বলা হয়েছে, তুলসির বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং সুনাম ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস। এটি একটি দেশকে অন্যায় ও ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বরাবরই অর্ন্তভুক্তিমূলক ও শান্তিপুর্ণভাবে ধর্ম পালনের ঐতিহ্যের জন্য সুপরিচিত। বাংলাদেশ বিশ্বের আরো আন্যান্য দেশের মতো চরমপন্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয় রাজনৈতিক নেতা ও সুপরিচিত ব্যক্তিদের সংবেদনশীল বিষয়গুলো সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার আগে প্রকৃত তথ্য যাচাই করা উচিত। তাদের এমন কোনো বক্তব্য দেয়া উচিত নয় যা ক্ষতিকর ধারণাকে শক্তিশালী করে, ভয় উস্কে দেয় এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়ায়।

তুলসি গ্যাবার্ডের ভারতে অবস্থানকালেই দেশটিতে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের বর্বরতার নতুন নজির। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার অপসারণে দাবিতে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আওরঙ্গজেবেকে দাসত্বের প্রতীক অত্যাচারী শাসক উল্লেখ করে অবিলম্বে মাজার অপসারণের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। নাগপুরের খুলদাবাদে স্থানীয় মুসলিমরা মাজার ঘিরে অবস্থান নিলে আওরঙ্গজেবের প্রতীকী কবর আগুনে পোড়ায় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এতে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ টিয়ারগ্যাস আর ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর যানবাহনে লাগানো আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের সাতটি গাড়িও পুড়িয়ে দেয়া হয়। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। প্রয়োজনে বাবরি মসজিদের মতো মাজার গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন দল দু'টির শীর্ষ নেতারা।

এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তোলা মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী দিল্লিতে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে। কথা হয়েছে, সীমান্ত নিরাপত্তা সন্ত্রাস দমন, সাইবার নিরাপত্তা, নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সুরক্ষা অংশীদারি নিয়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথেও বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিবের হাই-প্রোফাইল সফরের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের চীন সফরের প্রস্তুতিকালে শুরু হলো এ ক্যারিকেচার। এ অঞ্চলের অনেককিছু নির্ভর করছে এ দুটি সফরের উপর। চীন সফর অনেক সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে নানা তথ্য ও ধারণা নিয়ে কথা চাউর হয়েছে। ড. ইউনূসের গত ৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ভাইটাল এসাইনমেন্ট মনে করা হচ্ছে চীন সফরকে। অ্যারেঞ্জমেন্টও বিশাল। কেবল তাকে নেওয়ার জন্যে ২৬ মার্চ চীন স্পেশাল বিমান পাঠাবে।

যা চীন কেবল গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের জন্যেই পাঠায়। তারপর চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হবে ইউনূসকে। সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাষণও রাখবেন তিনি। সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, এই সফর বাংলাদেশের চীন-সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। এতে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাপক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে। হিসাব বা সমীকরণ আরো আছে।

নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, মার্কিন, চীন খুব প্রাসঙ্গিক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমন কি মধ্যপ্রাচ্যও। গুতেরেসের বাংলাদেশ আর ইউনূসের চীন সফর নিয়মতান্ত্রিক স্বাভাবিক সফর, নাকি পেছনে নানা কূটনীতি- এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস যেন চীন সফরেই না যান, সেই ছক ও ঘুটি চলছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে গ্রুপিং, সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকারের সঙ্গে সরকার প্রধান ইউনূসের বিরোধ- ইত্যাদি গুজব ছড়ানোর পেছনে রয়েছে নানা হাতের কারসাজি। কারণ, তার চীন সফর সফল হলে অপূরণীয় সর্বনাশের শঙ্কায় ভূগছে ভারতসহ দেশি-বিদেশি কয়েকটি শক্তি। অন্যদিকে, আগ্রহী কূটনৈতিক-রাজনৈতিক মহলে তুলসি ও তার বক্তব্য নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণসহ নতুন করে নানা আলোচনা। সেখানে নানা তথ্যের সঙ্গে হালকা-মাঝারি-গম্ভীর সব ধরনের কথাই রয়েছে। এ দায়িত্ব গ্রহণের বহু আগে থেকেই আলোচিত মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি। ইসকন ভক্ত তুলসির নিয়োগ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বড় চমক।

ভারত সফরে এসে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরেক চমক যোগ করেছেন মাত্র। গেল ৬-৭ মাস বা ১৫-১৬ বছরে বাংলাদেশে যা ঘটেছে- তার তথ্য যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের মতো করেই সংগ্রহ করেছে। তাই, তুলসির বক্তব্য নিয়ে বেশি মশগুল হতে নারাজ অনেকে। কারণ, বাইডেন বা প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ একটি মডারেট মুসলিম দেশ। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তুলসি গ্যাবার্ডের তা অজানা থাকার কথা নয়। এছাড়া, তিনি যেখানে বসে বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মভিত্তিক উগ্রবাদী কর্মকাণ্ড নিয়ে তার শঙ্কার কথা বলেছেন সেখানেও হিন্দু ধর্মভিত্তিক উগ্রতা আছে। এমন কি তুলসির ভারতে অবস্থানকালেই কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানিতে সম্রাট আওরঙ্গজেবের মাজার ভাঙ্গা রুখতে ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে, সেটা তার আলোচনায় আসেইনি।

ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকদের মধ্যে বিষয়টি ভিন্নভাবেও আলোচিত। বিষয়টিকে হালকাচ্ছলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের তুলসি ভ্যাবার্ড আর পশ্চিমবঙ্গের শুভেন্দু অধিকারীকে এক করে ফেলছেন। শুভেন্দু তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেছেন, আর তুলসী ডেমোক্র্যাট থেকে রিপাবলিকে গেছেন এক বছরও হয়নি l শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীও দল বদল করেছিলেন, আবার তুলসির বাবা মাইক গ্যাভার্ডও দল বদলে আলোচিত ছিলেন। দুজনের এ অদ্ভুত মিল নিয়ে কথার অনেক কচলানি। ড. ইউনূসের চীন যাত্রা ঠেকাতে ভারতের এ ধাঁচের আরো কিছু করা অসম্ভব নয়। হালকাচ্ছলে না নিয়ে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আরো সতর্কতা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিষয় রয়েছে। ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস এরইমধে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিবাদটি শেয়ার করেছে l দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে ভাবনার সঙ্গে সতর্কতাও রয়েছে। ৫ আগষ্ট থেকে আধিপত্যবাদী শক্তির সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করার চেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষ আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য শক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোও যুথবদ্ধ।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন।

এইচআর/এএসএম

Read Entire Article