ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
পরীক্ষায় ফেল করায় পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে মিজান রহমান নামে এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষায় ফল প্রকাশ হয়। সে পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ার পর থেকে ওই শিক্ষার্থী ইনচার্জের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকির দেয় বলে অভিযোগ উঠে।
হুমকির বিষয়টি পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মিজান রহমান সিরাজগঞ্জের তাড়াস উপজেলার আবু তালেবের ছেলে এবং পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ১১ মার্চ প্রকাশিত হয়। তাতে তিনি এক বিষয় অকৃতকার্য হন।
পরে তিনি প্রভাবশালী নার্স নেতা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা দিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্তৃপক্ষকে ফোন দিয়ে পাস করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ওই ছাত্র ২০২১ সালে ভর্তি হয়। এরপর থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিমের দোহাই দিয়ে সব ধরনের অনিয়ম করে আসছিলো। কেউ কিছু বললে আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতো। এছাড়া সে নিয়মিত ক্লাস করতো না।
নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর প্রভা রানী বড়াল বলেন, গত ১১ মার্চ বিএনএমসির রেজাল্ট হওয়ার পর থেকে সে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দিয়ে ফোন দিয়ে পাস করানোর চাপ দিচ্ছে। সে যে বিষয়ে ফেল করেছে সে বিষয়ে আমাদের কোনো শিক্ষক পরীক্ষা নেয়নি। সাধারণত মৌখিক পরীক্ষায় বাইরে থেকে শিক্ষক আসে। আমরা শিক্ষক হিসেবে কখনও কোনো শিক্ষার্থী ফেল করুক তা চাই না।
নার্সিং ইন্সট্রাক্টর সাজেদা খানম বলেন, প্রথম বর্ষ থেকেই ফেল করে আসছে মিজান। এসময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্ব করে। এখন ফেল করার পর থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে।
আশরাফুল ইসলাম নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, মিজান সবসময় আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখাতো, তার ভয়ে কোন কথাই বলা যেত না।
এ বিষয়ে পিরোজপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ বেবী রায় বলেন, মিজান কখনোই নিয়মিত ক্লাস করতো না। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে চলতো। আর মিজান যে পরিক্ষায় ফেল করছে ওই পরিক্ষা আমরা নেইনি অন্য ইনস্টিটিউট থেকে এক্সটার্নাল শিক্ষক এসে পরীক্ষা নিয়েছে। সেই ফেল করার পর আমার নামে মিথ্যাচার ও মামলা দেওয়াসহ নানা রকম হুমকি দিচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজান রহমান বলেন, আমার শিক্ষক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা দূরের কথা কোনো খারাপ কথাও বলিনি।
এএইচ/এএসএম