প্রদর্শনীর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ

16 hours ago 5
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র তিন দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে (সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু) নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হবে আজ।

বুধবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি ও আদেশ হতে পারে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র তিন দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে (সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু) হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও নির্মাতা সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল এ রিট করেছেন।

রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপ-পরিচালক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডকে বিবাদী করা হয়েছে।

আশরাফুর রহমানের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, লুত্ফর রহমান জর্জসহ অনেকে।

নিমার্ণ শেষে সিনেমাটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। ৩০ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রিভিউ করলেও এখনো প্রদর্শনের অনুমতি পাননি সংশ্লিষ্টরা।

পরে দুই বার সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে তিন দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে প্রযোজক হাইকোর্টে রিট করেন।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতি চর্চা’ শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’র টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেডপোস্ট ক্রিয়েশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে চলচ্চিত্রটি একটি প্রামাণ্যচিত্র। এই চলচ্চিত্র বাংলার ঐতিহাসিক অংশ। জুলাই বিপ্লবকে বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা হয়েছে। ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষতির বিরুদ্ধে, রক্তপাতের বিরুদ্ধে। আমি মনে করি, জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য এটা একটি অসাধারণ কাজ।

কাদের গণি আরও বলেন, আমি যতটুকু সিনেমাটি দেখেছি, তার ভিত্তিতে বললে, যারা এই সিনেমা আটকে দিয়েছেন, তারা শহীদদের রক্তের সাথে প্রতারণা করেছেন। যারা সিনেমাটি বন্ধ করেছেন তাদের কাছে জানতে চাই, কী কারণে তারা এটি বন্ধ করেছেন, ত্রুটিটা কোথায়? এই ধরনের সিনেমা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমাদের সন্তানরা জুলাই বিপ্লবে জীবন দেয়নি। সতর্ক করে বলতে চাই, এই ধরনের চলচ্চিত্র বন্ধ করা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। এটা আপনারা (সেন্সর বোর্ড) করবেন না। কোথাও ত্রুটি থাকলে জনসম্মুখে সেটা প্রচার করুন আপনারা।

‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘দ্য রিমান্ড’ একটি ফিল্ম, একটি ঐতিহাসিক দলিল। ছাত্র-জনতার বীরত্ব ত্যাগের ইতিহাস স্মরণীয় বরণীয় করে রাখতে, জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। সময়ের অন্যতম চলচিত্র ‘দ্য রিমান্ড’ ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। রাষ্ট্রবিরোধী গল্প, বক্তব্য, সংলাপ, থিম কিছু থাকলে সাত দিনের মধ্যেই তা চিঠি দিয়ে জানানো আইনের বিধান। কিন্তু তারা কোনো চিঠিপত্র দেয়নি। আলোচনা বা সংলাপ করেনি। অজ্ঞাত কারণে এখনো সনদপত্র ইস্যু করেনি।

তিনি বলেন, অবিলম্বে চলচ্চিত্রটির সনদপত্র ইস্যু করা হোক, ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড মুক্তি দিক।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article