ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আগের বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা. অনিন্দিতা দত্তকে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বাসায় পাঠানো হয়।
ডা. অনিন্দিতা দত্ত সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একদল লোক রোববার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে অনিন্দিতা দত্তকে বাংলাদেশ মেডিকেলের এফ ব্লকে ক্যানসার ভবনে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কুমিল্লা থেকে আসা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ওই কক্ষে অবরুদ্ধ করেন বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি মূলত তাদের এলাকার রাজনৈতিক ব্যাপার। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত নেই। যিনি ইস্যুটা তৈরি করেছেন তিনিও হিন্দু সম্প্রদায়ের। সেই লোক এলাকা থেকে দলবল এনে এবং এখানকার কিছু লোককে সম্পৃক্ত করে ডা. অনিন্দিতাকে অবরুদ্ধ করেন।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, কিছু লোক মিলে ধান্দা করার চেষ্টা করছে আর কি। যেটা এখন সবখানেই চলছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত স্পটে যাই, প্রক্টরও সেখানে যান। সেগুনবাগিচা থেকে সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে একটি টিম আসে। শাহবাগ থানা থেকে সেকেন্ড অফিসার টিম নিয়ে আসেন। পরে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে করে তাকে (ডা. অনিন্দিতাকে) পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বাসায় চলে গেছেন।
ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ছিলেন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ করে সরকার।
২০২১ সালে ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর তার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় মেয়ে অনিন্দিতা দত্তকেও আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, সেসব মামলায় ডা. অনিন্দিতাকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে কুমিল্লার তাদের প্রতিপক্ষের কিছু লোক ঢাকায় এসে নিজ কার্যালয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেন।
এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম