বাকৃবির রাজিয়া হলে চার গণরুমে ১২৬ ছাত্রী, ৩২ জনের একটি বাথরুম

17 hours ago 6
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

লিখন ইসলাম, বাকৃবি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৯ মার্চ ২০২৫  

বাকৃবির রাজিয়া হলে চার গণরুমে ১২৬ ছাত্রী, ৩২ জনের একটি বাথরুম

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সুলতানা রাজিয়া হলের চারটি গণরুমের ছাত্রীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ এনে দ্রুত সিট সংকট সমাধানের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। 

বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন হলটির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রীদের দাবি, তাদের দ্রুত গণরুম থেকে সরিয়ে নিয়মিত কক্ষে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে তারা অস্বাস্থ্যকর ও দুর্বিষহ পরিবেশে বসবাস করছেন। বর্তমানে তারা একজনের বেডে দুজন করে থাকছেন, আর মাত্র চারটি বাথরুম ব্যবহার করছেন ১২৬ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসেবে ৩২ জনের জন্য মাত্র একটি বাথরুম সুবিধা রয়েছে।

হলে আসন দিতে সময় লাগলে অন্তত আপাতত যেন একজন শিক্ষার্থীকে এক বেডে থাকার ব্যবস্থা করা হয়, প্রশাসনকে এমন প্রস্তব দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “চারটি গণরুমে ১২৬ জন থাকছেন। এক বেডে দুজন করে ঘুমাচ্ছেন। মাত্র চারটি বাথরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে সবাইকে। এত দিন ধৈর্য ধরেছেন কিন্তু এখন আর সম্ভব না। তারা সিট চান।

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নামেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা।


আরেকজন বলেন, “কয়েক দিন আগে হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে পাঠান। সেখানে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি। সবাই শুধু অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে, কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা ‘গণরুম নাকি জেল, প্রশাসনের নাকে তেল’ , ‘হলে হলে বৈষম্য, চলবে না চলবে না’, ‘সিঙ্গেল বেডে দুইজন করে, থাকব না থাকব না’-সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, “সুলতানা রাজিয়া হলের শিক্ষার্থীরা গণরুম সমস্যার বিষয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছিল। আমি তাদের তখন বুঝিয়েছিলাম যে, রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। হলে খালি আসন না থাকলে তো তাদের বরাদ্দ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যাতে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের এই সমস্যা সমাধান করা যায়।”

ঢাকা/ লিখন/রাসেল

Read Entire Article