বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ শনাক্ত

3 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

প্রকাশিত: ২২:৪২, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ শনাক্ত

সাত মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে থাকার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত এক যুবকের পরিচয় মিলেছে। ওই যুবকের নাম হাসান (২০)।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসানের মরদেহের কাগজপত্র পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মরদেহ মরচুয়ারিতে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাদ জুমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে গণহত্যার বিচারের দাবিতে কফিন মিছিল হবে।

নিহত হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, ‘‘গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে আমার ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে হাসানের মরদেহ শনাক্তের কথা বলেন। সেই অনুযায়ী গত ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে মালিবাগ সিআইডি অফিসে আমি ও হাসানের মা গোলেনুর বেগম ডিএনএ নমুনা দিই। এরপর বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আমাদের জানানো হয়, হাসানের ডিএনএ’র সঙ্গে আমাদের ডিএনএ মিলে গেছে। পরে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আমি আমার ছেলে হাসানের মরদেহ নিতে আসি। এর মধ্যে সমন্বয়করা আমাদের জানিয়েছেন, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে। এরপর মরদেহ গ্রামেরবাড়ি নেওয়া হবে। সেখানে দাফন করা হবে।’’

মনির হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার কাছিয়া সাহা মাদার গ্রামে। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেক্ট্রিক দোকানে কাজ করতেন তিনি। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিল বড়। গত ৫ আগস্ট বিকেলে সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটাই হাসানের মরদেহ ছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে শনাক্ত করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ রামু চন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত একটি মরদেহ ডিএনএ’র মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। রাতেই লিখিতভাবে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শুক্রবার তারা মরদেহ নিয়ে যাবে বলে জানান। এখন পর্যন্ত এক নারীসহ ছয়জনের মরদেহ হাসপাতালের মারচুয়ালিতে রাখা আছে। সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কোনো স্বজন না থাকায় সবগুলো মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেক স্বজনরা মরদেহ শনাক্তের জন্য আসলেও কেউ শনাক্ত করতে পারেননি।’’

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ আলম বলেন, ‘‘গত ১৩ জানুয়ারি স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। গত বুধবার একটি মরদেহের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই লিখিতভাবে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’’

ঢাকা/এনএইচ

Read Entire Article