রংপুরে প্রতিবাদের মুখে মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বাধার মুখে রংপুরের তারাগঞ্জে আন্তঃজেলা মেয়েদের ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ইসলামি নেতাদের তীব্র বিরোধিতার কারণে স্থানীয় প্রশাসন মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করে। ফলে ম্যাচটি বাতিল করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট ও রাজশাহীর মেয়েদের ফুটবল দলের মধ্যে এই ম্যাচটি বিকেল ৩টায় বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তারাগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফ আলী ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে খেলাটি বন্ধের ঘোষণা দেন এবং বিক্ষোভের ডাক দেন। এ নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়, যা স্থানীয় প্রশাসনকে হস্তক্ষেপে বাধ্য করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা বিকেলে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে আয়োজক, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মী, জামায়াত ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী এবং ইত্তেহাদুল উলামা সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে কোনো পক্ষই আপস করতে রাজি হয়নি। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

jagonews24

ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিকেলের মধ্যেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠ ঘিরে ফেলে। ফলে খেলোয়াড়রা না খেলেই ফিরে যেতে বাধ্য হন।’

খেলা বন্ধের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা আশরাফ আলী বলেন, ‘আমাদের একমাত্র দাবি ছিল খেলা বন্ধ করা। প্রশাসন সেটাই করেছে। ফলে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। তবে আয়োজকরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’

ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজকদের একজন নয়ন মিয়া বলেন, ‘টুর্নামেন্টটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়। দর্শকদের আনন্দ দিতেই আমরা এটি আয়োজন করেছি। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনের নেতা বিনা কারণে খেলা বন্ধ করে দিলেন। খেলোয়াড়রা ফিরে গেছেন। মাঠ এখন কড়া নিরাপত্তার আওতায় রয়েছে।’

এরআগে গত ২৮ জানুয়ারি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি ও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় দুটি ফুটবল ম্যাচ ধর্মীয় সংগঠনের হামলার মুখে স্থগিত করা হয়েছিল। পরে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবং ধর্মীয় নেতাদের আত্মসমালোচনার পর ম্যাচ দুটি ৩ ও ৫ ফেব্রুয়ারি পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়।

জিতু কবীর/এসআর/জেআইএম

Read Entire Article