ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
রাজশাহী কারাগারে বন্দি থাকাকালে অসুস্থ বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেন পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাজি সেলিম, ইরফান সেলিম, তৎকালীন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার শাহাদাত হোসেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সাবেক এমপি নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০০৯ সালে সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি করা হয়। এ মামলায় ওই বছরের ৩ জুন পিন্টু গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও আদালত এ মামলার রায়ে নাসির উদ্দিন পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে পিন্টুকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আকতার কল্পনা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
এছাড়া ২০১৪ সালে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য উচ্চ আদালতে পিটিশনও দাখিল করেন তিনি। আদালত নিজ খরচে পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ আই হসপিটালে নিয়মিত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশ অমান্য করে প্রথমে তাকে নারায়ণগঞ্জ ও পরে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, আদালতের চিঠি পেয়ে ২০১৫ সালের ২ মে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইছ উদ্দিন কারাগারে গেলেও কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার অজুহাতে পিন্টুকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়নি। পরদিন তিনি মারা যান। তবে রাজশাহীর তৎকালীন ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ ওই সময় নাসির উদ্দিন পিন্টুর মারা যাওয়ার ঘটনাকে ‘নরমাল ডেথ’ বলে প্রচার করেন।
বাদীর আইনজীবী আব্দুল মালেক রানা জানিয়েছে, আদালত হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে মামলার বাদী ও পিন্টুর ছোটভাই নাসিম উদ্দিন রিন্টু বলেন, আমার ভাই ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে হাজি সেলিমকে বিপুল ভোটে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর হাজি সেলিমসহ অন্যরা তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিডিআর হত্যা মামলার আসামি করেছিল। তাদের পরিকল্পনাতে আমার ভাইকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। আমি এখন এঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।
সাখাওয়াত হোসেন/আএইচ/জিকেএস