রান উৎসবের ফাইনালে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

3 hours ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

পারফেক্ট ফাইনাল! শের-ই-বাংলার বাইশ গজে রান উৎসব। কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। পরতে পরতে উত্তেজনা। যেদিকে চোখ যায় শুধু লাল আর লাল। সঙ্গে স্লোগান বরিশাল-বরিশাল! হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত চিটাগং কিংসকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল।

তারায় ভরা বরিশালের শেষের নায়ক দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা রিশাদ। ১২ বলে প্রয়োজন যখন ২০, তখন এক ছক্কায় ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে আরেক ছক্কায় চিটাগংয়ের স্বপ্ন মাটি করে দেন। ৩ বলে যখন ১ প্রয়োজন তখন ওয়াইড দিয়ে জয় নিশ্চিত করে দেন চিটাগংয়ের বোলার হুসেইন তালাত! রিশাদ ৬ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বরিশাল। ব্যাটিং করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করে চিটাগং কিংস। তাড়া করতে নেমে বরিশাল ৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতে যায়।

জিততে হলে ওভার প্রতি রান প্রয়োজন প্রায় ১০। প্রয়োজন পরিস্থিতি বুঝে জ্বলে ওঠে তামিমের ব্যাট। অন্যপ্রান্তে দারুণ সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটি থেকে ৪৯ বলে আসে ৭৬ রান। তাতে তামিমের অবদান ৫৪! 

আরাফাত সানিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৪ বলে ফিফটি করেন বরিশালের অধিনায়ক। এর আগের ফাইনালেও তামিম ফিফটি হাঁকান। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়ে।  

তামিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেই দ্বিতীয় বলে ফেরেন ডেবিড মালান। শরিফুলের গতিতে পরাস্ত হন এই ইংলিশ ব্যাটার। বল পায়ে লাগলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলে চিটাগংয়ের পক্ষে আসে। 

এরপর কাইল মায়ার্স-হৃদয় জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। সেট হয়ে হৃদয় যখন ব্যাট চালচ্ছিলেন তখন আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ২৮ বলে ৩২ রান করেন হৃদয়। মায়ার্সের সঙ্গী হন মুশফিক। ক্রিজে এসেই দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৯ বলে ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। 

এক প্রান্তে উইকেট পড়লেও মায়ার্স বল-রানের পার্থ্যক্য কমিয়ে দেন। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। শরিফুলের আঘাতে মায়ার্স ফিরলেও ততক্ষণে জয় যেন ছিল হাতের কাছে। কিন্তু একই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরায় বিপকে পড়ে দলটি। ১১ বলে ৭ করেন মাহমুদুল্লাহ। 

ক্রিজে মোহাম্মদ নবীর সঙ্গী হন রিশাদ হোসেন। ছক্কা হাঁকিয়ে এই লেগি বরিশালকে যেন বাঁচিয়ে তোলেন। সঙ্গে চিটাগংয়ের ফিল্ডারদের এলোমেলো ফিল্ডিং আরও সুবিধা পয় বরিশাল। ১৯তম ওভারে নবী ফিরলেও কোনো বিপদ হয়নি। চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শরিফুল। 


খাজা নাফে-পারভেজ হোসেন ইমনের ওপেনিং জুটি চিটাগংয়ের বড় রানের ভিত্তি গড়ে দেয়। দুজনের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১২১ রান। ৭৬ বলে দুজনের জুটি থেকে এই রান আসে। খাজা নাফের আউটে ভাঙে জুটি। এই ব্যাটার ৩টি ছয় ও ৭টি চারের মারে ৪৪ বলে এই রান করেন নাফে। 

পাকিস্তানি এই ব্যাটার আউট হলেও ইমনকে আউট করতে পারেনি বরিশালের বোলাররা। ৪৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন তিনি। ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে এই রান করেন ইমন। এ ছাড়া ২৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন গ্রাহাম ক্লার্ক। ৩টি ছয় ও ২টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। 

ক্রিজের সেট ব্যাটার ইমন শেষ দিকে সুবিধা করতে পারেননি। এক প্রান্তে ইমন আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে উইকেটের মিছিলে চিটাগংয়ের রানের গতি কমে যায়। শেষ ওভারে মাত্র ৬ রান নিতে পারে। শেষ চার ওভারে দলটি মাত্র ৩১ রান নিতে পারে। এখানে পিছিয়ে যায় চিটাগং।

Read Entire Article