ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামপন্থি ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে নেতাকর্মীরা। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকার পরও তারা ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে এ ইফতারে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারির রুমে প্রেসক্লাবের ইফতার আয়োজনে এ দৃশ্য দেখা যায়।
রাবি প্রেসক্লাবের নেতারা জানান, ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে তারা প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করে থাকেন। ভবিষ্যতেও সম্প্রীতির এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের আয়োজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন তারা।
এ সময় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “দৈনন্দিন জীবনে আমাদের হালাল-হারাম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। শুধু শূকরের মাংসই হারাম না। হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে হালাল ফল কিনলেও সেটা হারাম হয়ে যাবে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা সংবাদ অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই তারা যেন সবসময় সত্য লেখার চেষ্টা করে।”
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হাসানাত আলী বলেন, “জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এ বিপ্লবের কারণে আমরা রাজনৈতিক পরিচয় ভুলে গিয়ে এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করতে পারছি। দেশের ক্রান্তিলগ্নে সব শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “এ রমজান মাস আমাদের তাকওয়া, দ্বীনদারিতা ও পরহেজগারিতার শিক্ষা দেয়। কাঁটাযুক্ত পথের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলে যেমন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, জীবনে সে রকম সাবধানতা অবলম্বন করার নামই তাকওয়া।”
তিনি বলেন, “রমজানে আমরা যে রকম পানাহ থেকে বিরত থাকি, সারাজীবন সেভাবে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলেই আমরা সফল। এছাড়া মুসলমান হিসেবে সবসময় অন্যকে দাওয়াত দিয়ে ইসলামের পথে আনার চেষ্টা করব।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক এফ নজরুল, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মিশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র ফেডারেশন, বাঁধন, উদীচি, ক্যারিয়ার ক্লাব, স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন, পিডিএফ, সাইন্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সাবেক সমন্বয়কবৃন্দ, গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ, সোচ্চার রাবি ইউনিট, রাবি সাংবাদিক সমিতি ও রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা।