সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়, রাত কেটেছে ক্লাবঘর-মসজিদে

2 hours ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

রাঙামাটি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৪:১৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়, রাত কেটেছে ক্লাবঘর-মসজিদে

সাজেকে রাতে পর্যটকদের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করতে দেখা যায়

মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটন মৌসুমের শেষের দিকে এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটক সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ পর্যটকই অগ্রিম বুকিং করে না যাওয়াতে বিপাকে পড়েছেন। হোটেল-মোটেলে রুম না পেয়ে অনেকেই রাত কাটিয়েছেন হোটেল মোটেলের বারান্দায়, ক্লাবঘর, স্থানীয়দের বাড়ি ও মসজিদে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ৫ হাজারের মত পর্যটক সাজেক বেড়াতে আসেন। সাজেকে বর্তমানে ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে, যেখানে প্রায় ৪ হাজারের মত পর্যটক অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং না করে যাওয়াতে কোনো রিসোর্ট কটেজে রুম পাননি। এতে অনেকে ফিরে গেলেও কিছু পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য থেকে গেছেন। থাকার জায়গা না পাওয়া পর্যটকরা কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ক্লাবঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয়দের বাড়িঘর ও মসজিদে রাত্রিযাপন করেছেন।

জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, “গতকাল (শুক্রবার) বেশ ভালোই পর্যটক সমাগম হয়েছে সাজেকে। যারা অগ্রিম বুকিং না দিয়ে এসেছেন তারাই রুম পাননি। তবে আমি শুনেছি কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বলেবো সপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে অগ্রিম বুকিং করেই সাজেক আসার জন্য।”

সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, “শুক্রবার ২৩০টির মতো আমাদের জিপ, ৭০টি মাহিন্দ্রা ও ১০০টির  মোটরসাইকেল সাজেকে গিয়েছে। বেশকিছু পর্যটক রাতে থাকার জন্য রিসোর্ট কটেজ পাননি। উনাদের জন্য স্কুল, ক্লাবঘরসহ অন্যান্য জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছে সমিতির পক্ষ থেকে। তবে ১২/১৩ জন পর্যটক গাড়িতে থেকেছেন।” 

কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, “গতকাল সাজেকে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ পর্যটক এসেছেন। প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। যারা অগ্রিম বুকিং না করে এসেছেন তাদের অনেকেই রুম পাননি। আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ পর্যটককে ক্লাবঘর, ত্রিপুরা ক্লাবঘর, নতুন নির্মাণাধীন কটেজ ও স্থানীয়দের বাসা বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।” 

কোন পর্যটক রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হয়তো আনাচে কানাচে কোন পর্যটক গাড়িতে থেকে থাকতে পারেন। আমাদের কাছে যারাই এসেছেন আমরা তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি।”

ঢাকা/শংকর/টিপু

Read Entire Article