ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
যেখানে মানুষ একজন স্ত্রী, ২-৩ সন্তান নিয়েই সংসার করতে হিমশিম খাচ্ছেন। সেখানে আফ্রিকার এই বৃদ্ধর আছে ১৬ স্ত্রী। শুধু তাই-ই নয় সন্তান ১০৪ জন এবং নাতি-নাতনির সংখ্যা ১৪৪ জন। তানজানিয়ার একটি ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা মেজি আর্নেস্তো মুইনুচি কাপিংগার পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিনি সহ ২৬৫ জন।
আর্নেস্তোর বাড়িটি যেন আস্ত একটি গ্রাম। যেখানে তার প্রতিটি স্ত্রীর জন্য একটি করে ঘর রয়েছে। বাড়ির কাজের জন্য অনেক লোক আছে এবং কয়েকজন আছেন বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য।
এক সাক্ষাৎকারে মেজি আর্নেস্তো কাপিংগা বলেছেন যে তিনি তার বাবার অনুরোধে তার পরিবারকে বড় করতে শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৬১ সালে তার প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন এবং তার এক বছর পরে তার প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তার বাবা তাকে বলেছিলেন যে একজন স্ত্রী যথেষ্ট নয়। তিনি আর্নেস্তাকে অর্থ সম্পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন, যদি তিনি আরও স্ত্রী গ্রহণ করতে এবং আরও সন্তান ধারণ করতে রাজি হন ।
আর্নেস্তো জানান, তাদের বংশ খুবই ছোট ছিল, তাই তার বাবা চাইতেন তিনি যেন তাদের বংশ বড় করেন। তিনি এই মিশনে রাজি হন। তার বাবা তার প্রথম পাঁচ স্ত্রীকে যৌতুক হিসেবে অর্থ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। আর্নেস্তোর ২০ জন স্ত্রী ছিল। কেউ কেউ এক পর্যায়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, অন্যরা মারা গেছেন কিন্তু আজও তিনি ১৬ জন স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন, যাদের মধ্যে সাতজন আপন বোন।
সাধারণত একজন নারী কখনোই তার স্বামীকে স্বেচ্ছায় অন্য কারো সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান না। কিন্তু মিজি আর্নেস্তো মুইনুচি কাপিংগার স্ত্রীরা এর ঠিক উল্টো। তাদের দাবি, স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকা ভালো, এতে তিনি একজন ভালো, শ্রদ্ধাশীল স্বামী হিসেবে খ্যাতি পাবেন।
আর্নেস্তার একজন স্ত্রী তার বোনেদের কাছে তার সম্পর্কে এবং তার সঙ্গে কাটানো সুন্দর জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি চেয়েছেন একই অভিজ্ঞতা তার বোনদের হোক, তারাও ভালো একজন স্বামীর সঙ্গে জীবন কাটাক। তাই তিনি তার বোনদের একেক করে আর্নেস্তার সঙ্গে বিয়ে দেন।
শেষ পর্যন্ত সাত বোন আর্নেস্তাকে বিয়ে করেন। তারা এখন সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করে এবং দাবি করে যে তাদের মধ্যে কোনো ঈর্ষা নেই। সবার সন্তান আছে, আলাদা ঘর আছে। যে যার নিজের মতো করেই মিলেমিশে সংসার করেন।
আর্নেস্তার প্রতিটি স্ত্রীর নিজস্ব ঘর আছে, নিজস্ব রান্নাঘর আছে, কোনো প্রতিযোগিতা নেই। সবাই তাদের জায়গা জানে। তারা সবাই একসঙ্গে কৃষিকাজ করেন, একসঙ্গে খাবার খান, একসঙ্গে বাড়ির কাজ করেন।
পুরো পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। তারা খাদ্যের জন্য সম্পূর্ণরূপে তাদের ফসল এবং গবাদি পশুর উপর নির্ভর করে। তারা মূলত ভুট্টা, শিম, কাসাভা এবং কলা চাষ করে এবং যা তারা নিজেরা খায় এবং কিছু বিক্রি করে বাজারে। সেই অর্থ দিয়ে অন্যান্য পণ্য কেনেন।
স্ত্রীরা সবাই দাবি করেন যে তারা সর্বদা তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেন এবং পরিবারের ঐক্যের জন্য ক্ষোভকে প্রশ্রয় দেন না। যদি তারা নিজেদের মধ্যে সমস্যা সমাধান করতে না পারেন, তাহলে তারা সমস্যাগুলো আর্নেস্তোর কাছে নিয়ে যান এবং তিনি তাদের কথা শোনেন, কোনো পক্ষ নেন না, বরং কেবল তাদের পরামর্শ দেন।
মজার ব্যাপার হলো, মিজি আর্নেস্তো মুইনুচি কাপিংগা স্বীকার করেছেন যে মাঝে মাঝে তার সব সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নাম নিয়ে তার সমস্যা হয়। তিনি তাদের প্রায় ৫০টি নাম তিনি মনে রাখতে পারেন। তবে তিনি দাবি করেন যে অন্যদের মুখ দেখলে তাদের নাম মনে পড়ে যায় তার। অসুস্থতা এবং দুর্ঘটনায় তার আরও ৪০টি সন্তান মারা গেছে। তাই তিনি সব সন্তানের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেন সব সময়।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল
কেএসকে/এএসএম