গ্রিনল্যান্ড যেভাবে ডেনমার্কের অংশ হয়েছিল

1 day ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য সম্প্রতি উঠেপড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদে ভরপুর দ্বীপটিকে আয়ত্তে নিতে প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র-ডেনমার্ক সম্পর্ক।

গ্রিনল্যান্ড বর্তমানে ডেনমার্কের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। তবে দ্বীপটি ডেনমার্কের অংশ হওয়ার পেছনে একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-

গ্রিনল্যান্ডের ডেনমার্কের অধীনে আসার ইতিহাস:

১. নরওয়ে ও ডেনমার্কের উপনিবেশবাদ (১৩৮০-১৮১৪)

মধ্যযুগে গ্রিনল্যান্ডে স্ক্যান্ডিনেভীয় বসতি স্থাপিত হয়েছিল, বিশেষত আইসল্যান্ডীয় নরওয়েজীয় অভিযাত্রীদের মাধ্যমে।

১৩৮০ সালে ডেনমার্ক ও নরওয়ে একীভূত হলে, গ্রিনল্যান্ডও এই রাজ্যের অংশ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন>>

২. কিল চুক্তি (১৮১৪)

১৮১৪ সালে নেপোলিয়নের যুদ্ধের পর ‘কিল চুক্তি’র মাধ্যমে ডেনমার্ক-নরওয়ে রাজ্য বিভক্ত হয়। নরওয়ে সুইডেনের অংশ হলেও গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং ফারো দ্বীপপুঞ্জ ডেনমার্কের অধীনে থেকে যায়।

৩. ডেনমার্কের সরাসরি শাসন (১৮১৪-১৯৫৩)

ডেনমার্ক গ্রিনল্যান্ডকে একটি উপনিবেশ হিসেবে শাসন করতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গ্রিনল্যান্ড সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে।

৪. গ্রিনল্যান্ডের ডেনমার্কের প্রদেশ হওয়া (১৯৫৩)

১৯৫৩ সালে ডেনমার্ক সংবিধান পরিবর্তন করে গ্রিনল্যান্ডকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে এটি উপনিবেশের মর্যাদা হারায়।

৫. স্বায়ত্তশাসন (১৯৭৯ ও ২০০৯)

১৯৭৯ সালে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিনল্যান্ডকে স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে দ্বীপটি আরও বিস্তৃত স্বায়ত্তশাসনের অনুমোদন পায়। এর ফলে তারা নিজেদের আইন ও প্রশাসনের ওপর অধিক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।

বর্তমান অবস্থা

গ্রিনল্যান্ড এখন স্বায়ত্তশাসিত, তবে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখনো ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ভবিষ্যতে এটি সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করেন।

তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া (প্রতিবেদনটি এআই’র সাহায্যে তৈরি)
কেএএ/

Read Entire Article