ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
চীনের ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব ও নববর্ষ উপলক্ষে দেশটির জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপকে (সিএমজি) দেওয়া একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে চীনের চান্দ্র নববর্ষ বা বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছাবাণীতে তিনি বলেন, চীনের বসন্ত উৎসব’-কে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ২০২৪ সালে ‘মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বকারী অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই অভূতপূর্ব অর্জনে চীনের সরকার ও জনগণের মতো আমরাও অত্যন্ত অনন্দিত। চীনের বসন্ত উৎসবের মতো বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাও’ ইউনেসকোর একই তালিকায় ২০১৬ সালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং চীনের বসন্ত উৎসবের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে এক গভীর যোগসূত্রের সূচনা করেছে। এই অভিন্ন আনন্দের মুহূর্তে আমরা নতুন বছরের আশা, আনন্দ ও সমৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিয়ে দুদেশের নিবিড় সম্পর্ককে সামনে আরো এগিয়ে নিতে একযোগে কাজ করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তীর কথা উল্লেখ করে বলেন, এ বছর আমরা দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী ব্যাপক পরিসরে উদযাপন করতে যাচ্ছি। পঞ্চাশ বছরের এই দীর্ঘ পথচলায় দু’দেশের সম্পর্ক যেমন গভীর ও নিবিড় হয়েছে, তেমনি এর ব্যাপকতাও অনেক বেড়েছে।
সুপ্রতীবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক উন্নীত হয়েছে। এ সম্পর্ক শুধু দুদেশের আস্থা ও বন্ধুত্বের প্রতীকই নয়, বরং দুই জাতি ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান শান্তি, সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির পথে একসাথে চলার এক অবিচল অঙ্গীকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বের সামনে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে এই সম্পর্ক ক্রমাগত আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক, ইতিহাসের সঠিক পথ ধরে সামনে এগিয়ে যাবে এবং দু’দেশের জনগণের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধিশালী এবং স্থিতিশীল বিশ্ব গড়তে একসাথে কাজ করে চাই। তিনি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের জনগণকে শুভেচ্ছা জানান।