ঢাকা ছেড়েছে ২০ ট্রেন, বুড়িমারী-জয়ন্তিকার যাত্রা বাতিল

1 day ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি।

বুধবার ভোর সাড়ে ৬ টায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তথ্যানুয়ায়ী, সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে মোট ২০ ট্রেন ছেড়ে গেছে। ঢাকায় পৌঁছেছে ২৭টি। এছাড়া জয়ন্তিকা ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চলছে। ঢাকা থেকে ২০টি ছেড়ে গেছে, ঢাকায় এসেছে ২৭ টি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

রানিং স্টাফদের আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বহাল রেখে সংশোধনী দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে কিছুটা দাবি পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন।

আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে একটি সংশোধনী চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বহাল রাখার কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট ৯১ নম্বর স্মারকে জারি করা পত্রের (ক) অনুচ্ছেদটি এবং অর্থ বিভাগের গত ২৩ জানুয়ারিতে ২৭ নম্বর স্মারকে জারি করা পত্রটির রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্যতার বিষয়টি সংশোধন করা হলো। সংশোধনটি হচ্ছে, রানিং স্টাফ হিসেবে চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতার পরিবর্তে রেলওয়ের এস্টাবলিশমেন্ট কোডের বিধান অনুযায়ী রানিং অ্যালাউন্স প্রাপ্য হবেন। চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালনের জন্য রানিং অ্যালাউন্স ছাড়া অন্য কোনো ভাতা প্রাপ্য হবেন না।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক-সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। অন্যথায় ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

এ রানিং স্টাফরা হলেন- গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। তারা সাধারণত দীর্ঘসময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এ ছাড়া অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫ শতাংশ অর্থ যোগ করে অবসরকালীন অর্থের হিসাব হতো। তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর এ সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এনএস/এমএএইচ/জিকেএস

Read Entire Article