ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্সের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পেছনে ফেলে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা অর্জন করেছে রাবি।
প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজারের বেশি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং–২০২৫ (জানুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। র্যাংকিংটি প্রকাশ হয় ২৭ জানুয়ারি।
তালিকা প্রণয়নে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে মাদ্রিদভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক ও প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে তালিকা করা হয়।
ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১ হাজার ৪২২তম।
এর আগে ২০২৪ সালের প্রথম সংস্করণে (জানুয়ারি) দেশে রাবির অবস্থান ছিল তৃতীয়, আর দ্বিতীয় সংস্করণে (জুলাই) এক ধাপ এগিয়ে অবস্থান হয় দ্বিতীয়। এবছর আরও একধাপ এগিয়ে শীর্ষ স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এদিকে দেশের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান থেকে ছিটকে অষ্টমে ঠেকেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের বৈশ্বিক অবস্থান হচ্ছে ১ হাজার ৯৯৫তম। এছাড়া দেশের মধ্যে বুয়েটের অবস্থান দ্বিতীয়। আর বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৪৭৪তম।
তৃতীয় অবস্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, যার বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৭৭০, চতুর্থ অবস্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৭৮৩), পঞ্চম অবস্থানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৮১৮), ষষ্ঠ স্থানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৯৪২), সপ্তম স্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বৈশ্বিক র্যাংকিং ১৯৭০)। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নবম স্থানে (বৈশ্বিক র্যাংকিং ২২৮৭) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দশম স্থানে রয়েছে (বৈশ্বিক র্যাংকিং ২৩৬৭)।
রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, এ অর্জন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা আমাদের গবেষকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছি এবং তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে গবেষণাকর্ম করে যাচ্ছেন। এজন্যই আমাদের সফলতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মনির হোসেন মাহিন/জেডএইচ/এমএস