ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
যৌক্তিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের সব সংকট কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গত ১৬ বছর হাসিনা ও তার দোসররা দেশ লুটপাট করে খেয়েছে। মানুষের উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছ। পুরো দেশকে একটি কারাগার বানিয়েছিলেন। মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। মানুষ সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় নেমেছিলেন।
তিনি আরও, ছাত্র-জনতার রোষানলে দেশ থেকে হাসিনা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে বারবার নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বাজারব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের দমিয়ে রাখাও সম্ভব হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে দেশকে গণতন্ত্রমুখী করবে ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। শুধু সংস্কার নয়, ভোটের অধিকারও প্রতিষ্ঠা করবে। এজন্য যৌক্তিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের সব সংকট কেটে যাবে।
জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেটা সবাই জানেন। আকাঙ্ক্ষা ছিল মানুষ যেন ভোট দিতে পারবে, স্বাচ্ছন্দ্যে বাজার করতে পারবে, চলাফেরা করতে পারবে, দেশে খুন ও গুম হবে না, দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ হবে, ব্যাংক লুট, ঘুস এবং দুর্নীতি বন্ধ হবে। কিন্তু এগুলো এখন দুঃখজনক পর্যায়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেছে, তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি সম্মানিত মানুষ। এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে আপনার ওপর দেশের মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয় ও সম্মান নষ্ট হয়। আপনার ওপর এখনো বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে। সেই আস্থা নষ্ট করবেন না। আপনাকে কেউ না কেউ ব্যবহার ও কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে। এই জায়গায় সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। গাইবান্ধা বিএনপির সভাপতি ডা. অধ্যাপক মইনুল হাসান সাদিকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুন্নবী টিটুলের সঞ্চালনায় বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবুসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।
এ এইচ শামীম/এএইচ/এমএস