ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, “বাণিজ্যকে আমরা রাজনীতির সঙ্গে মিলাচ্ছি না। ভারত যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং ওখান থেকে আমদানি খরচ তুলনামূলকভাবে কম ও সস্তা দামে পাওয়া যায়, সেজন্য সেখান থেকে পণ্য আসাটা অব্যাহত আছে। আমরাও সেটাকে ওয়েলকাম করছি। পাশাপাশি মিয়ানমার আমাদের কাছে আরও চাল বিক্রি করতে চাচ্ছে। পাকিস্তান থেকেও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির ব্যবস্থা করেছি।”
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি প্রসঙ্গে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা তাদের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি করেছি। তারা আরও বিক্রি করতে চাচ্ছে। আমরা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ এবং সরবরাহের অবস্থা দেখে এরপর বিবেচনা করব। এছাড়া আরও উৎসের সন্ধান আমরা করছি।”
সবমিলিয়ে কী পরিমাণ চাল আমদানি করা হচ্ছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘‘আট থেকে নয় লাখ মেট্রিকটন চাল আসবে। সরকারি সেক্টরে প্রায়ই আটলাখ মেট্রিকটন চাল আসবে। ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান এসব জায়গা থেকে আসবে। ভিয়েতনামের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’’
বিদেশ থেকে কয়েক দফা চাল এলেও দাম কমছে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘এখানে প্রথম কথা হচ্ছে দাম বাড়ানো বন্ধ হয়েছে। মোটা চাল যেটা আছে সেটার দাম তিন থেকে পাঁচ টাকা কমেছে। আমরা আরও চাল আনতে থাকব। দাম বাড়ার আর সুযোগ থাকবে না।”
সামনে রমজানকে ঘিরে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার শঙ্কা আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘রমজান মাসে আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ করে চাল ও গম সবচেয়ে বেশি দেখাশোনা করে। বাকি কিছু আইটেম দেখভাল করে টিসিবি। সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। টিসিবিও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় প্রতিদিন দুই মেট্রিকটন চাল বিক্রি শুরু হয়েছে এ মাস থেকে। রমজান মাসেও এটা থাকবে। সারাদেশে ৫০ লাখ লোকের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির ৫০ লাখ লোক মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে ১৫ টাকা দরে। আশা করছি রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল থাকবে।’’
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের দিক দিয়ে বেশি নজর দিচ্ছি। বিদেশ থেকে না আনতে পারলে আমরা সবচেয়ে বেশি খুশি হব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দুর্যোগ কবলিত দেশ। যে কোনোভাবে আমাদের দেশে দুর্যোগ আসে। দুর্যোগ এলেই আমাদের দেশের ফসলের ক্ষতি হয়। এবার যদি অকাল বন্যা না হতো আমাদের এতটা চাপে পড়তে হত না। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগামীতে ফসল ভালো হয়।’’
উপদেষ্টা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন এবং মায়ানমার থেকে আসা চালের জাহাজ থেকে চাল খালাস প্রত্যক্ষ করেন। এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক ও বন্দর চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামানসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রেজাউল/এস