ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও দুই মামলায় আসামি ৫ হাজার

2 days ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের আন্দোলনকালে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কাশিমপুর থানায় আরও দুটি মামলা হয়েছে।

এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনটি মামলা হলো। এসব মামলায় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭ জনে।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ হওয়া ১৬টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা বুধবার (২২ জানুয়ারি) চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর, একটি ট্রাক ও তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেন। তারা স্থানীয় গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এসব ঘটনায় গ্রামীণ ফেব্রিকস কারখানার পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) একটি মামলা করেন কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) তরিকুল ইসলাম। পরে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন বাসের মালিক হাবিবুল্লাহ আকন্দ। এ মামলায় শুক্রবার তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর মহানগর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করে শিল্প পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম একই থানায় আরও একটি মামলা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গাজীপুর মহানগরীর সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তা কাজ করেন। কারখানাগুলোর মালিক সালমান এফ রহমান। গত কয়েক মাস ধরে এসব শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এজন্য বকেয়া পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকরা বেশ কয়েকদফা আন্দোলনে নেমে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে।

এদিকে গত ১৫ ডিসেম্বর এক সভায় সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বন্ধ ১৬ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বিক্ষোভ ও চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। তারা অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর এবং একটি ট্রাক, তিনটি বাস ও গ্রামীণ ফেব্রিকস অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/এএসএম

Read Entire Article