ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া উপকূল থেকে তিন শিশু এবং তিন অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৮৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ ওশান ভাইকিং। গত সোমবার থেকে মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা এসওএস মেডিটারানে।
ফ্রান্স-ভিত্তিক সংস্থাটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টারত ৮৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী একটি নৌকায় সমুদ্রে ভাসছিলেন। তারা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন। নৌকায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১৮ বছরেরও কম।
আরও পড়ুন>>
- ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশিরা
- ভূমধ্যসাগরে দিনে গড়ে ৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু: এমএসএফ
- ইতালির কঠোর পদক্ষেপেও কমছে না অবৈধ অভিবাসন
ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের নজরদারি উড়োজাহাজ ঈগল-১ সাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঝুঁকিতে পড়ার বিষয়ে এনজিওগুলোকে অবহিত করে। পরে সেখান থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ ওশান ভাইকিং মোট ৮৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ইতালির কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে উদ্ধারস্থল থেকে চারদিনের দূরত্বে অবস্থিত জেনোয়া বন্দরে নোঙ্গর করার নির্দেশ দিয়েছে।
‘২০২২ সাল থেকে দূরবর্তী বন্দরের এই নীতির কারণে উদ্ধারকারী দলগুলো ১৭১ দিন হারিয়েছে, যে দিনগুলো দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধারে ব্যয় করা যেতো,’ বলে উল্লেখ করে বেসরকারি সংস্থাটি। বিষয়টিকে ‘ইচ্ছাকৃত কার্যক্রম’ এবং ‘সমুদ্র আইনের পরিপন্থি’ দাবি করে এর নিন্দা জানিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সবশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী ৪৫ জন মানুষ ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হয়েছেন অথবা মারা গেছেন।
২০২৪ সালের পুরো সময়জুড়ে এ সংখ্যাটি ছিল ২ হাজার ৩৩৩ জন। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরের রুটটি এখনো বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক অভিবাসন রুটগুলোর মধ্যে একটি।
সূত্র: এএফপি, ইনফোমাইগ্রেন্টস
কেএএ/