ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রকাশিত: ১০:০৪, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
ভোলাহাট উপজেলার একটি ক্ষেতে থাকা মিষ্টি কুমড়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া। অধিক লাভের আশায় গতবারের থেকে বেশি জমিতে চাষ করা এ সবজিটি বাজারজাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে লোকসান হচ্ছে তাদের। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, মৌসুমের শুরুতে এই সবজি ১২০০-১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার কম দামে।
উপজেলা কৃষি অফিসের পরিসংখ্যান মতে- ভোলাহাটে এবার মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবার ৭০০ হেক্টর বেশি জমিতে এই সবজি চাষ করেছেন সেখানকার কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তালপল্লী থেকে ফলিমারি রাস্তার দুই পাশে মিষ্টি কুমড়া স্তূপ করে রেখেছেন কৃষকরা। আগের বছরগুলোয় জমি থেকে সবজিটি বিক্রি হয়ে গেলেও এখন তা হচ্ছে না। জমিতে থেকে বিক্রি না হওয়ায় ক্ষেত থেকে তুলে রাস্তার পাশে অস্থায়ী বাজার বানিয়ে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করছেন কৃষকরা। তবে, এবার পাইকারদের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া কেনার আগ্রহ কম। যে কারণে মৌসুমের শুরুতে এই সবজি ১২০০-১৪০০ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকার কম দামে।
মিষ্টি কুমড়ার চাষি আব্দুস সামাদ বলেন, “মৌসুমের শুরুতে ১৪০০ টাকা মণ ছিল মিষ্টি কুমড়া। এখন ৫০০ টাকা মণেও বিক্রি করতে পারি না। আমার মিষ্টি কুমড়া ক্ষেতেই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”
কৃষক মো. হুসেন আলী বলেন, “জমিতে বোরো ধান চাষ করব ভেবে মিষ্টি কুমড়া তুলে রাস্তায় নিয়ে রেখেছি। এখন বিক্রি করতে পারছি না। এখানে ৪০০-৪৫০ টাকা মণ দরে পাইকাররা কিনতে চাচ্ছে।”
চাষি মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, “সময় মতো বীজ না পাওয়ার কারণে জমি চাষা করতে দেরি হওয়ায় ফলন দেরিতে হয়েছে। শীতকালীন সবজি বাজারে আসার কারণে মিষ্টি কুমড়ার দাম কমে যাচ্ছে।”
মিষ্টি কুমড়ার পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মাসুদ বলেন, “এখন মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা খুব কম। এলাকা থেকে কিনে এই সবজিটি ঢাকায় নিয়ে যায়। তাও বিক্রি করতে পারি না। অধিক পরিমাণ উৎপাদন ও শীতকালিন সবজি বাজারে ভরপুর থাকায় ভোক্তাদের কাছে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা কমেছে।”
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী বলেন, “বাজারে সবজির যোগান বেশি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে সব কৃষি পণ্যের দাম কমে গেছে। ভোলাহাটে মিষ্টি কুমড়ার উৎপাদন ভালো হওয়াতে তুলনামূলক দাম কমেছে।”
তিনি আরো বলেন, “আগামী ছয় মাস পর্যন্ত পরিপক্ক মিষ্টি কুমড়া ভালো থাকবে। মিষ্টি কুমড়া সংরক্ষণ রেখে কয়েকমাস পরে বিক্রি করলে ভালো দাম পাবেন কৃষকরা।”
ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ