যে কারণে বিমানবন্দর থেকে সোজা মাঠে সিমন্স

তিনি এসেছেন। ঢাকায় পা রেখেছেন সাত সকালেই। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল দুবাই থেকে যে ফ্লাইটে করে সকাল ৯টার আগেই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে, সে একই ফ্লাইটে বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্স যে রাজধানীতে, সে খবর জানা হয়েছে সকালেই।

ভ্রমণ ক্লান্তি , সাত সকালে চলে আসা। বিশ্রাম দরকার। সব মিলিয়ে প্রথমে কথা ছিল আগামীকাল ১৭ অক্টোবর শেরে বাংলায় টিম বাংলাদেশের অনুশীলনে গিয়ে কাজে যোগ দেবেন এ সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার; কিন্তু না। দেখা গেল সকাল ১১ টার কিছু পরই সরাসরি মাঠে এসে হাজির টিম বাংলাদেশের নতুন কোচ।

বিমান বন্দর থেকে থেকে সরাসরি মাঠে, জাতীয় দলের অনুশীলনে, নতুন হেড কোচ। খানিক কৌতুহাল জাগায় বৈকি! কেন, কি কারণে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরাসরি হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরে বাংলায়? সে প্রশ্নও উঠলো উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে।

সবচেয়ে বড় কথা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার জন্য ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ স্কোয়াডও ঘোষণা হয়নি তখনো। মানে সকালে যারা প্র্যাকটিস করেছেন, সেটা অনেকটাই নিজ উদ্যোগে। অবশ্য সেখানে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প আর পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসও ছিলেন।

সিমন্স মাঠে ঢুকে তাদের সাথেই পরিচিত হলেন। সৌজন্য বিনিময়ের পর খানিক্ষণ কথা বললেন শেরে বাংলার সবুজ গালিচায় দাঁড়িয়েই। তারপর কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সাথে কথা বলতে দেখা গেল সিমন্সকে।

ব্যাটিং কোচ ডেভিড হ্যাম্প ও পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে এডামসের সাথে টাইগার নতুন হেড কোচ সিমন্স যখন কথা বলছিলেন , ঠিক তখন সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন করে ড্রেসিং রুমের পথে থাকা লিটন দাস এসে হাত মিলিয়ে সৌজন্য বিনিময় করলেন। কিছুক্ষণ কথাও হলো।

সব মিলিয়ে প্রথম দিনটা পরিচয় পর্বেই কাটলো বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন হেড কোচের। কেন তিনি সরাসরি এয়ারপোর্ট থেকে মাঠে? সে প্রশ্নের উত্তরও জানা গেল দুপুরে প্র্যাকটিস শেষ হওয়ার পর।

কারণ একটাই। আগামীকাল ১৭ অক্টোবর সূচিতে কোন প্র্যাকটিস নেই টিম বাংলাদেশের। তাই ক্রিকেটারদের সাথে মাঠে দেখা করতে হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। মানে ২দিন পর অনুশীলন কার্যক্রমে যোগ দেয়া। যেহেতু বিকেল পর্যন্ত প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করা হয়নি। তাই তাদর সাথে নতুন হেড কোচের পরিচিতি পর্ব এবং মাঠের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে বিলম্ব হবে। তা করতে চাননি সিমন্স।

তাই ঢাকায় পা রেখেই হোটেলে না গিয়ে সোজা টাইগার প্র্যাকটিসে চলে আসলেন তিনি। তবে আজ কোন কার্যক্রমে জড়িত হতে দেখা যায়নি সিমন্সকে। হাঁটু অবধি শর্টস পরা এ ওয়েষ্ট ইন্ডিয়ান হোম অব ক্রিকেটের চারপাশ আর তার ছাত্র ও সহযোগী শিক্ষকদের দেখলেন। পরিচিত হলেন। কিছু কথা-বার্তাও হলো।

মাঠে তার কার্যক্রমটা শুরু হবে তার আগামী শুক্রবার থেকে। প্রথম দিন সিমন্সকে মাঠে আনা এবং সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া ও চারপাশ ঘুরে দেখানো; সব কাজ একাই সারলেন বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ আর সিইও নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের সাথে সাক্ষাত হয়নি আজ সিমন্সের। তারা দুজন আইসিসির সভায় যোগ দিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতেই দুবাই গেছেন।

এআরবি/আইএইচএস/