সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা সব মামলা দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার

1 day ago 1
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

ডিজিটাল মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করায় ‘স্পিচ অফেন্স’ হিসেবে আওয়ামী লীগের আমলে সাইবার নিরাপত্তা আইনে ৩৩২টি মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, বাকি সব মামলা (২১৯টি) আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ আইনসহ সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন সাইবার সিকিউরিটি আইন নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে। এই আইন নিয়ে আলটিমেটলি কি করা হবে- সেটা নিয়ে আপনাদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। আপনাদের শুধু একটি জিনিস জানাই- এই আইন প্রত্যাহার বা সংশোধনের কাজটি করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তারা যখন আমাদের পরামর্শ চান, তখন পরামর্শ দেই। সাইবার সিকিউরিটি আইনের ব্যাপারে বিভিন্ন রকম পরামর্শ এসেছে। যতবারই খসড়া করা হয়, দেখা যায় কারো না কারো আপত্তি আছে, কারো না কারো আবার পক্ষে থাকছে। সেজন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় হয়তো চিন্তা করেছে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা চিন্তা করলাম এজন্যতো বসে থাকা যায় না। সাইবার সিকিউরিটি আইনে যে মামলাগুলো হয়েছে। এই মামলাগুলো প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। এটাইতো মূল বিষয়। আস্তে ধীরে আলোচনা করে আইনটি সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সাইবার সিকিউরিটি আইনের অধীনে যে স্পিচ অফেন্স (মত প্রকাশ করার অপরাধ) আছে সেই মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ এরই মধ্যে গ্রহণ করেছি।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা তালিকা করে দেখেছি বিগত সরকারের সময় করা ৩৩২টি স্পিচ অফেন্সের মামলার চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ৫৭টি মামলা তদন্তাধীন আছে। যে ৩৩২টি মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা আছে।

৩৩২টি মামলার মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটরের মাধ্যমে এরই মধ্যে ১১৩টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্পিচ অফেন্স সংক্রান্ত যতগুলো মামলা আছে সব প্রত্যাহার করা হবে। এরই মধ্যে আমরা প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহার করেছি।

আর আইনের বিষয়ে কি করা হচ্ছে সেটি আপনারা অচিরেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পারবেন বলেন আইন উপদেষ্টা।

আরএমএম/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article