হায়দার ঝড়ে শেষ চারের পথে চিটাগং, ছিটকে গেল ঢাকা

1 day ago 2
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

প্রকাশিত: ১৭:২১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫  

হায়দার ঝড়ে শেষ চারের পথে চিটাগং, ছিটকে গেল ঢাকা

সমীকরণটা সহজ ছিল চিটাগং কিংসের জন্য। হাতে ৫ উইকেট রেখে রংপুর রাইডার্সকে হারাতে ১৮ বলে ২০ রান লাগত তাদের। রংপুরের পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন হায়দার আলী। চিটাগংয়ের জন্য ভরসা।

১৮তম ওভারে রংপুরের হয়ে আক্রমণে আসেন পেসার আকিফ জাভেদ। আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেওয়া বাঁহাতি পেসার আকিফ শেষ ওভার করতে এসে দলকে ডোবাবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। স্বদেশী হায়দার আলী টানা চার ছক্কা উড়িয়ে ১৪ বল আগে চিটাগংকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৮ রান করে হায়দার চিটাগংয়ের জয়ের নায়ক।

এই জয়ে প্লে’অফের লড়াইয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল চিটাগং কিংস। তাদের ৫ উইকেটের জয়ে লড়াই থেকে ছিটকে গেল ঢাকা ক্যাপিটালস। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে চিটাগংয়ের পয়েন্ট ১২। সমান ম্যাচে ৩ জয়ে ঢাকার পয়েন্ট ৬। শেষ ২ ম্যাচ জিতলেও তাদের পয়েন্ট ১০ এর বেশি হবে না। অন্যদিকে চিটাগং দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই নিশ্চিত করবে শেষ চার।

টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইফতেখার আহমেদের ৪৭ বলে ৬৫ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান তুলে রংপুর। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন ইফতেখার। এছাড়া তার সঙ্গে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন মাহেদী হাসান। ২০ বলে ৩ চারে ২২ রান করেন তিনি। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ বলে ৭৫ রান করেন। 

রংপুরের ইনিংসের প্রথম ওভারটিই ছিল মেডেন। শ্রীলঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্দোর ওভার থেকে কোনো রান নিতে পারেননি স্টিভেন টেইলর। বাঁহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন সাজঘরে। পেসার শরিফুল ইসলাম তার উইকেট উপড়ে ফেলেন।

আরেক ওপেনার সৌম্য জীবন পাওয়ার পরও ভালো করতে পারেননি। ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন। শরিফুলকে তিনে নামা সাইফ পরপর দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরু করেছিলেন। কিন্তু ওই রানেই থেমে যেতে হয় তাকে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সংগ্রামী ইনিংস শেষ হয় বাজে শটে। ২১ বলে মাত্র ৯ রান করেন তিনি।
ইরফান শুক্কুর পারেননি সুযোগটি কাজে লাগাতে। ২ বলে ১ রান করে শামীমের বলে এলবিডব্লিউ হন। ১২.২ ওভারে পথ ভোলা রংপুরকে সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নেন ইফতেখার ও মাহেদী। তাদের ব্যাটেই বলার মতো পুঁজি পায় রংপুর।

চিটাগংকে আটকানোর জন্য যা যথেষ্ট ছিল না। যদিও জয়ের পথে উঠা-নামা করেছে তাদের অবস্থান। ওপেনার লাহিরু মিলান্থা ৬ রানে আউট হন। গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট থেকে ১৫ রানের বেশি আসেনি। মোহাম্মদ মিঠুনের ইনিংস থেমে যায় ২০ রানে। শামীম পাটোয়ারী ৮ রানে রান আউট হন।

বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারে জুটি গড়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন ও হায়দার আলী। দুজন ৪৩ রান জমা করেন। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ফিফটির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইমন। একাদশে ফিরে ২টি করে চার ও ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। কিন্তু সাইফ উদ্দিনের বলে ক্যাচ দিয়ে তাকে থামতে হয় ৪১ রানে। সেখান থেকে হায়দার একাই দলের হাল ধরে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

রংপুরের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আকিফ জাভেদ ও সাইফ উদ্দিন। বোলাররা চেষ্টা চালালেও স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় ম্যাচটা হারতে হয়েছে রংপুরকে। টানা আট জয়ে বিপিএল শুরু করা রংপুর টানা তিন হারে ছন্দ হারিয়েছে বেশ ভালোভাবেই।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

Read Entire Article