আইন সংস্কার-ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের উদ্যোগ নিতে ব্লাস্টের আহ্বান

17 hours ago 6
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

অংশীজন, মানবাধিকারকর্মী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০০ যথাযথভাবে সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আইনি সহায়তা প্রদান, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবিও জানান তারা।

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর কার্যকর প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে আইনের বাস্তবসম্মত সংস্কারের আহ্বান জানান ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট এর পক্ষে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের কমিউনিকেশন বিভাগ।

সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা, যৌন হয়রানি, অপহরণ, শারীরিক নির্যাতন এবং অনলাইন সহিংসতার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মামলা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বর্তমানে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং যৌন সহিংসতায় ভুক্তভোগী ব্যক্তির কার্যকর আইনি প্রতিকার নিশ্চিতে বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ধর্ষণ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়ন করেছে।

এ প্রসঙ্গে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট মনে করে, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা প্রতিরোধের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধান প্রয়োজন, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু আইন সংশোধন বা প্রণয়নই নয় বরং ভুক্তভোগীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন যেমন, ভুক্তভোগী নারীর চরিত্রহনন ও তার ওপর দোষারোপ বন্ধ করা, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার দৃষ্টান্তমূলক প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি ধর্ষণের সংজ্ঞা, ভুক্তভোগীদের জন্য মানসিক ও আইনি সহায়তা, পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা প্রয়োজন।

নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩), শিশু আইন ২০১৩, দণ্ডবিধি ১৮৬০, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এবং নারীর প্রতি সব প্রকার বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন (সিডও)-এর আলোকে বিদ্যমান আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট মনে করে, যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ ও ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারকদের আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তাই জোট সংশ্লিষ্ট অংশীজন, মানবাধিকারকর্মী এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন, ২০০০ যথাযথভাবে সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে, অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং ভুক্তভোগীদের মানসিক ও আইনি সহায়তা প্রদান, ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানায় তারা।

এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম

Read Entire Article