ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
আরও পড়ুন
আসামিরা সবাই বুয়েট শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতের রায় অনুযায়ী ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।
আসামিদের (ডেথ রেফারেন্স) মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন এবং আপিল খারিজ করে রোববার (১৬ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ জানান, রায়ে তারা আপাতত সন্তুষ্ট। তবে, এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয় সেটিও প্রত্যাশা তার।
আরও পড়ুন
- আবরার ফাহাদের মৃত্যু থাই পাহাড়ের মতো ভারী: অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রত্যাশা অনুযায়ী ন্যায়বিচার পাইনি: দুই আসামির আইনজীবী
রায়ের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, রায় বহাল রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট। আমরা আশা করবো, অতি দ্রুত যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলো সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করা হবে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম