ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
প্রকাশিত: ২১:১৯, ১৮ মার্চ ২০২৫ আপডেট: ২১:১৯, ১৮ মার্চ ২০২৫
এক সপ্তাহ আগেই গাজায় হামলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করেছিল ইসরায়েল। এরপরেই হামলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চার শতাধিক ছাড়িয়েছে।
জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। মার্চে চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা চলছিল। অথচ মঙ্গলবারের হামলার প্রায় এক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে হামলার অনুমোদন দেয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করেছিল। ওই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ কাতারে হামাসের সঙ্গে চুক্তির জন্য আলোচনা করছিলেন।
গাজায় হামলার জন্য ইসরায়েলের পক্ষে সাফাই গেয়ে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হগস বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দিয়ে হামাস যুদ্ধকে বেছে নিয়েছে।
আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, ইসরায়েল কেন যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার অন্তত তিনটি ব্যাখ্যা রয়েছে।
সামরিক স্তরে নেতানিয়াহু অনেক আগেই হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। জিম্মিদের নাটকীয় মুক্তি ‘নেতানিয়াহুকে অপমানিত’ করেছে এবং তার শিবিরকে রাজি করিয়েছে যে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।
বিশারা বলেন, “এর একটি কৌশলগত যুক্তিও রয়েছে এবং এটি ট্রাম্পের (গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বের করে দেওয়ার) দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে তৈরি। যুদ্ধ ছাড়া আপনি লাখ লাখ মানুষকে স্থানান্তর করতে পারবেন না।”
সর্বশেষ ব্যাখ্যাটি হচ্ছে, নেতানিয়াহু “অনেক দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি এবং গাজায় আরেকটি রক্তক্ষয়ী অভিযান শুরু করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চান।”
ঢাকা/শাহেদ