ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলী বাহিনী। আজ মঙ্গলবার ভোরে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি বিমান ও ট্যাংক হামলায় অন্তত ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র খলিল আল দেকরান নিহতের এ সংখ্যা জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহ, গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ অঞ্চলের একাধিক স্থাপনায় ব্যাপক আকারে বিমান ও ট্যাংক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে আবাসিক ভবনসহ বেশ কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি হতাহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এটি গাজায় সবচেয়ে বড় হামলা। গাজা যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা বেশ কয়েকটি জায়গাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ পর্যন্ত এ হামলা অব্যাহত থাকবে এবং তা শুধু বিমান হামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর এটি করা হয়েছে।
ইসরায়েল এখন থেকে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির সঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, এতে আরোবলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হামলার পরিকল্পনা আইডিএফ সপ্তাহান্তে উপস্থাপন করেছে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজকে জানিয়েছেন, হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভন্ডুল করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে গাজায় এখনো আটক থাকা ৫৯ জন জিম্মির ভাগ্য অনিশ্চিত করে তুলেছে তারা।