ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় বক্তারা বলেছেন, পতনের ৬ মাস পার হলেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উসকানি এখনো বন্ধ হয়নি। ছাত্র-জনতার রোষানলের দায় তাকেই বহন করতে হবে। ভারতের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতাকে সব ষড়যন্ত্র ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বুকে লালন করে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হতে হবে। গণ-হত্যাকারীদের বিচারের দাবি আরও জোরালো করতে হবে।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের অনুষ্ঠানে নেতারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
নেতারা আরও বলেন, যতদিন জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন না হবে ততদিন আওয়ামী লীগের কোনো তৎপরতা জনগণ সহ্য করবে না। জুলাইসহ বিগত ১৫ বছরে অসংখ্য গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
তারা আরও বলেন, হাজার হাজার নিরপরাধ ছাত্র-জনতাকে হত্যা, শত শত মানুষকে অন্ধ ও পঙ্গু করেও দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে যাচ্ছে খুনিরা। তাদের অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এই অপশক্তি দ্বারা দেশকে অস্থিতিশীল করার আর কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। পলাতক খুনিরা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। খেলাফত মজলিস জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে। ফ্যাসিবাদের বাহক আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এই মুহূর্তে যারাই সহযোগিতা করবে জনগণ তাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।
সব গুম ও খুনের বিচার ত্বরান্বিত করতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের ৬ মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো খুনির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলো। আমরা শেখ হাসিনাসহ সব পলাতক আসামিকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাহী বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আবু সালেহীন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, জিল্লুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী, মাওলানা ফারুক আহমদ ভুঁইয়া, আমির আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এএএম/এমআইএইচএস/জেআইএম