দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত

4 hours ago 3
ARTICLE AD
468x60 AD AFTER 4 POSTS

দেশে ন্যায়বিচার ও শিক্ষা ব্যবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এই ইফতার মাহফিল আয়োজন করে।

কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মানুষ যখন নির্যাতিত হয় তখন আদালতের আশ্রয় নেয়। যখন অসুস্থ হয় তখন আশ্রয় নেয় হাসপাতালে। এই দুটা জায়গা যদি ঠিক থাকে তাহলে একটা সমাজ মোটামুটি চলতে পারে। তবে আরও উপাদান আছে সমাজ সুন্দর করার। কিন্তু এই দুটার কোনোটা বাদ দিয়ে সমাজ চলতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে দুটি উপাদান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ন্যায়বিচার নির্বাসনে, শিক্ষা ভাঙাচোরা। না আছে এর কোনো নৈতিক ভিত্তি, না আছে কোনো বৈশ্বিক মান। কিছুই নেই। অনেকগুলো ইউনিভার্সিটি আমাদের দেশে। কিন্তু গ্লোবাল র‌্যাংকিংয়ে কাছাকাছি কোথাও নেই। অথচ আমাদের বহু পরে দেশ স্বাধীন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, তারা ভালো পজিশনে, দুনিয়াকে লিড করছে। আমরা পড়ে আছি অন্ধকারে।

আইনজীবীদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, বিচারাঙ্গনে আপনারা যারা আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ। আপনারা বিচারকের অংশ। আপনারাই তো বলেন- বার এবং বেঞ্চ হলো বিচার। সব বিচারকের একজন বড় মহাবিচারক আছেন। শেষ বিচারের দিনে, সেদিন দুনিয়ার সব বিচারক, আইনজীবী, ভিকটিম, সাক্ষী সবাইকে হাজির হতে হবে।

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার এখতিয়ার নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই আদালতও অনেক আসামির সাজা কমিয়ে দিতে পারে। রাষ্ট্রপ্রধান টোটালি মওকুফ করতে পারেন। তার সেই এখতিয়ার আছে। সেই এখতিয়ার তিনি যখন প্রয়োগ করবেন তখন তাকে মাথায় রাখতে হবে যে, তাকে যদি ছাড় দেওয়া হয় তাহলে এটার বেনিফিট তিনি এবং সমাজ সমানভাবে উপভোগ করবে? নাকি এই ছাড় পাওয়া ব্যক্তিটি আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সত্য আমরা সচরাচর প্র্যাকটিসে এটা দেখি না। আমরা তার ব্যতিক্রম দেখি।

জেল জীবন নিয়ে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, জেলকে আমার অনেক বিষয়ে সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। শাস্তি হিসেবে নিলে শুধুই কষ্ট পাবো, দরকার নেই। আমি নিয়েছি সুযোগ হিসেবে। (আওয়ামী লীগ) সরকার আমার প্রতি খুবই আন্তরিক ছিল। এজন্য ৫ বছর পর পর নিয়ে যেত রেস্ট হাউজে (জেলখানা)। আবার নিয়ে বলতো বহুদিন পর আপনার আতিথিয়েতা পেয়েছি। তাড়াতাড়ি আপনাকে ছাড়বো না। থাকেন আমাদের সঙ্গে থাকেন। আমি সেইভাবে এনজয় করেছি।

এফএইচ/জেডএইচ/

Read Entire Article